• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

বাংলাদেশ

নির্বাচনে বিদ্রোহী শতাধিক নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা আ. লীগের

অনলাইন ডেস্ক:

 আপডেট: ০৯:০২, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

নির্বাচনে বিদ্রোহী শতাধিক নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা আ. লীগের

ঢাকা: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। 

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

রাতে সভা শেষে গণভবনের ফটকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। 

সভায় দলের জাতীয় সম্মেলনের বাজেটও অনুমোদন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি অনুসরণ করে এবারের সম্মেলনের বাজেট ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের সর্বশেষ সম্মেলনের বাজেট ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহাবুদ্দিন ও মশিউর রহমান।

জাতীয় কমিটির বৈঠকের শুরুতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সূচনা বক্তৃতা করেন। এরপর নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় কমিটির বৈঠকে জেলা পর্যায়ের প্রবীণ সদস্যদের বেশি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সভা শেষেও প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, অধিকাংশ বক্তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের কাজের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনাই যাতে দল ও সরকারের নেতৃত্বে থাকেন, সেই ইচ্ছার কথা বলেন। এক সদস্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দলীয় পদে আনার দাবি করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জয় ও পুতুল পরিপক্ব। সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি তাদের ওপর কোনো জোর খাটাবেন না।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির চার-পাঁচজন নেতা বক্তৃতা করেন। তাদের প্রায় সবাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী কিংবা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা নেতাদের ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানান। জেলা থেকে আসা সদস্যরাও তাতে সায় দেন। 

নেতারা বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ সময় বহিষ্কৃতদের ফিরিয়ে না আনলে দল দুর্বল হয়ে যাবে। এ পর্যায়ে যেসব বহিষ্কৃত নেতা ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। আর ভবিষ্যতে যারা আবেদন করবেন, তাদের জাতীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সারা দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলীয় প্রার্থী পরাজিত হন। সে সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ অন্য নেতারা শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ১৮০। ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি, ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা থেকে একজন করে প্রতিনিধি ও সভাপতির নির্বাচিত ২১ জন নিয়ে জাতীয় কমিটি গঠিত হয়। ২২ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠক হবে। 

২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: