• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

জেলার খবর

মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই আশরাফুল

শাহ্ আলম ভূঁইয়া, বিশেষ প্রতিনিধি

 আপডেট: ১৮:৫৯, ২৬ জুন ২০২২

মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই আশরাফুল

ছবি: সময়বিডি.কম

ময়মনসিংহ: মাথার ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’! গুরুতর আহত সেই আশরাফুল ইসলাম জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন। আট দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের পূর্ব অরণ্যপাশা গ্রামে আহত এই দুই ভাইয়ের বাড়ি। আহত আশরাফুল (২০) এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

গত শনিবার (১৮ জুন) বিকালে বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে আশরাফুলের ছোট ভাই মাসুদের সাথে একই বাড়ির নবী হোসেনের ছোট ছেলে জুনায়েদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে এ নিয়ে মাসুদের বড় ভাই আশরাফুল ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষ নবী হোসেন (৬৫) ও তার ছেলে সুমন মিয়া, রুবেল, রিপন, জুনাইদ-সহ অন্যান্যরা ধারালো দা, শাবল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।  উপর্যুপরি আক্রমণে আশরাফুল মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এ সময় মাসুদকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়।

> ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’, সংকটাপন্ন আহত আশরাফুল

উন্নত চিকিৎসার জন্য আশরাফুলকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথা থেকে আশরাফুলের খুলি আলাদা করে ব্যান্ডেজ করা হয়। আলাদা করা খুলি সংরক্ষণ করা হয় সাভারের একটি ল্যাবরেটরিতে। তার মাথায় ৪৪টি সেলাই দেয়া হয়েছিল। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তিন মাস পরে অবস্থার উন্নতি হলে আবার অস্ত্রোপচার করে তার খুলি সংযুক্ত করা হবে। এরমধ্যে আহত হয়ে আশরাফুলের ছোট ভাই মাসুদও ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার পরদিন রাত থেকে নবী হোসেন তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, এ ঘটনায় গত ২৩ জুন ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তার মধ্যে রুবেল মিয়া নামে এক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল মারা যাওয়ায় এখন ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

জুন ২৬, ২০২২

এসএবি/এবি/

মন্তব্য করুন: