• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

জেলার খবর

চাটমোহরে অন্তঃস্বত্ত্বা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, পলাতক প্রেমিক

পাবনা প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২৮ জুন ২০২২

চাটমোহরে অন্তঃস্বত্ত্বা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, পলাতক প্রেমিক

চাটমোহরের কুবিরদিয়ার গ্রামের অন্তঃস্বত্ত্বা স্কুল ছাত্রী। ছবি: সময়বিডি.কম

পাবনা: পাবনার চাটমোহরের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক শারীরিক সম্পর্ক করার ফলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক স্কুলছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। গত সোমবার (২৭ জুন) সকালে মেয়েটির অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার পূর্বপাড়া গ্রামে। ভূক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিক জিলহাজ্ব হোসেন (১৮) একই ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। জিলহাজ্ব স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র।

এ ঘটনায় মেয়েটি ছেলের পরিবারের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে ছেলের পরিবার তালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়ে মেয়েটি চাটমোহর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

ভূক্তভোগী মাদরাসাছাত্রী জানান, “প্রায় এক বছর আগে আমাদের বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে জিলহাজ্ব এর সাথে পরিচয় হয়। প্রথমে সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হইনি। সে তখন আমাকে জানায় সে আমাকে অনেক ভালবাসে এবং বিয়ে করবে। তখন আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত আটমাস আগে থেকে মাঝেমধ্যেই রাতে সে আমাদের বাড়িতে আসতো। বাড়িতে আমার বাবা-মা না থাকায় সে আমাকে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে গিয়ে অনেকদিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমি ওকে বিয়ের কথা বললে ও বলতো সামনের কিছুদিন পরেই আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো। এখন সে আর আমাকে ধরা দিচ্ছে না। আমার ফোনও ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দিয়েছে। আমি এখন ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। ও যদি আমাকে গ্রহন না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।”

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, মেয়েটির বাবা-মা নেই। বৃদ্ধ দাদীর কাছেই সে থাকে। সোমবার বিকেলে থানায় এসে অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

জুন ২৮, ২০২২

আইকেআর/এবি/

মন্তব্য করুন: