প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সেনভাঙ্গাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক স্কুলের হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে স্কুলে না গিয়ে জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জেলা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে প্রধানশিক্ষক আব্দুস সবুর খান কিছু ছাত্র নিয়ে  সিরাজগঞ্জ জেলায় জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দলের সম্মেলনে যোগদান করেন। এ নিয়ে ওই এলাকার অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে প্রধানশিক্ষক বলছেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন তালুকদারের নির্দেশে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলাম।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সেনভাঙ্গাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আব্দুস সবুর খান স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে স্কুল বাদ দিয়ে রাজনৈতিক একটি দলের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে সুসম্পর্ক হওয়ায় প্রধানশিক্ষক নিজেকে স্কুলের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দাবি করে আসছেন। নিজ এলাকায় চাকরির সুবাদে একটি চক্র গড়ে তুলেছেন তিনি। এ কারণে তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মনীতি মানেন না, ক্লাসও ঠিকমতো নেন না। অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় বিদ্যালয়ে তার নিয়মিত উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।  প্রতিটি জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দলের প্রোগ্রামে কর্মী হিসেবে তিনি উপস্থিত থাকেন।

ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, প্রধানশিক্ষকের বাড়ি নিজ এলাকায় হওয়ার সুবাদে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে সুসম্পর্ক হওয়ায় তিনি স্কুলের কর্তৃত্ব নিজ হাতে নেন। কারো সাথে কোনো পরামর্শ করেন না। প্রায় সময় তিনি স্কুলে উপস্থিত দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে উপস্থিত হন। তার ভয়ে অন্য শিক্ষকরা কিছু বলতে পারেন না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক আব্দুস সবুর খানকে ফোন করা হলে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সম্মেলনে আছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন। 

তিনি আরো বলেন, 'আমার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন তালুকদার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সেই হিসেবে জেলায় সম্মেলন উপলক্ষে অতিথি ছিলেন।  তাই সভাপতি আমাকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন। তাই আমি উপস্থিত ছিলাম।'

এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রেজা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কথা বলে দায়মুক্ত হন।

নভেম্বর ৭, ২০২২