• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

জেলার খবর

সব বই হাতে পায়নি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা

পাবনা প্রতিনিধি:

 আপডেট: ০৮:১৬, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

সব বই হাতে পায়নি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা

চাটমোহরে প্রাথমিকের বই বিতরণ করছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। ছবি: সময়বিডি.কম

পাবনা: পাবনার চাটমোহরের প্রাথমিক পর্যায়ের ২৩৯ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর হাতে পৌঁছেনি ১৪টি বিষয়ের বই। ইতোমধ্যে তারা ১২টি বিষয়ের বই পেয়েছে। ক্লাস শুরু হয়ে গেলেও আংশিক বই হাতে না পাওয়ায় কোমলমতি শিশুরা নতুন বই প্রাপ্তির আনন্দ বঞ্চিত হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহরে ১৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ১২টি বিদ্যালয় ও ৫০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। প্রথম শ্রেণির ইংরেজি ও গণিত, দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা ও গণিত, তৃতীয় শ্রেণির বাংলা, গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা, গণিত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান ও ধর্ম এ ১৪টি বিষয়ের বই চাটমোহরে না পৌঁছায় তা হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা।

চাটমোহরে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২টি। এখন পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীই একটি বইও হাতে পায়নি। নবম শ্রেণির সকল বিষয়ের বই আংশিক এসেছে। চাহিদার তুলনায় কম বই আসায় এ শ্রেণির বই সংকট এখনো কাটেনি।

অপরদিকে মাদরাসারও সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়ের বই এখনো চাটমোহরে পৌঁছেনি বিধায় সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এবতেদায়ি পর্যায়ে প্রথম শ্রেণির গণিত, ইংরেজি, বাংলা, দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত, ইংরেজি ও আদরসুল আরাবিয়া বই চাটমোহরে না পৌঁছায় শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

অরবিটল লিঙ্ক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসানাত ফেরদৌস পূন্য জানান, এখনো কোনো বই হাতে পাইনি।

চড়ুইকোল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র জানান, অধিকাংশ বই পেয়েছি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেছি। সপ্তম শ্রেণীর বই এবং নবম শ্রেণীর আংশিক বই না পাওয়ায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব আশা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান সময়বিডি.কম-কে জানান, ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আমরা যে বইগুলো পাচ্ছি সেগুলো স্কুলগুলোতে সরবরাহ করছি। আশা করছি খুব দ্রুত সব বই চলে আসবে। তখন এ সংকট আর থাকবে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা মিলে বইয়ের চাহিদা ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৬৫টি। বই পেয়েছি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৩টি। অধিকাংশ বই চলে এসেছে এবং আমরা তা বিতরণ করেছি। কিছু বই এখনো না আসায় বিতরণ করতে পারিনি। আশা করছি এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।

জানুয়ারি ১০, ২০২৩

ইকবাল কবীর রনজু/এবি/

মন্তব্য করুন: