• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

জেলার খবর

সিরাজগঞ্জে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি জটিলতা কাটেনি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

সিরাজগঞ্জে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি জটিলতা কাটেনি

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে বদলিচ্ছুক শিক্ষক শিক্ষিকারা। অনলাইনে শূন্য পদ দেখালেও জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে জারি করা নোটিশ বোর্ড বলছে নির্দিষ্ট তিনটি স্কুলে শূন্যপদ নেই। 

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এই তিনটি স্কুলে যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদন বাতিল করছে কর্তৃপক্ষ। 

যদিও বদলির সকল প্রক্রিয়া বর্তমানে অনলাইনে করা হচ্ছে গত দুই বছর ধরে। জেলা শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারনেই এমন বিপাকে পড়েছেন বলেও অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মাসের ৩ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সদর উপজেলার প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির জন্য অনলাইনে আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনলাইনে বদলির আবেদন করেন প্রার্থীরা। অনলাইনে বদলির জন্য সদরের যেকোনো তিনটি স্কুলে শূন্যপদে পছন্দ করে আবেদন ও সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কপি জমা দেন আবেদনকারীরা। এরপর অনলাইন থেকে প্রার্থীর দরখাস্ত সঠিকভাবে জমা হয়েছে এই মর্মে তাদের একটি কপি দেওয়া হয়। এরপরে সেই কপি নিয়ে ও কাগজপত্রের মূল কপিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন আবেদনকারীরা।

কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট তিনটি স্কুলের বিপরীতে আবেদন করা প্রার্থীদের আবেদন বাতিল করে দেন বলে অভিযোগ করেন আবেদনকারীরা। 

আবেদনকারীরা জানান, অনলাইনে শূন্যপদ দেখানোর কারনে তারা যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে স্থানীয়ভাবে তাদের আবেদন বাতিল করায় তারা বিপাকে পড়েছেন। এখন নতুন করে আবেদন করারও সুযোগ নেই।

এদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও বিপত্তি বাধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে টানানো একটি নোটিশ নিয়ে। নোটিশে নির্দিষ্ট তিনটি স্কুলে সমস্য থাকার কারনে এই সকল স্কুলের বিপরীতে আবেদন না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। 

কিন্তু বদলি আবেদনকারীদের জানান, তারা অনেকেই অনলাইনে খোঁজ খবর রাখলেও স্থানীয় অফিসে সময়ের কারনেই যাওয়া হয়না। যে কারনে স্থানীয়ভাবে লাগানো নোটিশ সম্পর্কে তারা অবগত নন। তাই এমন পরিস্থিতির সুন্দর সমাধান চেয়েছেন তারা। একই সাথে অনলাইনে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করায় এখন বিপাকে পড়েছে আবেদনকারীরা। 

এমন অবস্থায় সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশ্ন জাগে বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে। যদি স্কুল তিনটিতে সমস্যা থাকে তবে সিরাজগঞ্জ অফিস থেকে কেন তা আগে থেকে জানানো হলো না প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। আর কিভাবেই বা অধিদপ্তর থেকে এমন ভুলে ভরা অনলাইন প্রক্রিয়া করা হলো। এমন অবস্থায় অনলাইনে বলদির প্রক্রিয়ায় জেলা শিক্ষা অফিস ও অধিদপ্তরের কার্যক্রম কতটুকু নির্ভুল তা এ বিষয়টিতেই প্রতিয়মান হয়।

এদিকে জেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট তিনটি স্কুলে বদলি প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আগামীতে আরো নতুন জটিলতা তৈরি হবে। সেটি নিরসন করতেই এই স্কুলগুলোতে যারা আবেদন করছেন, তাদের আবেদন বাতিল করছে কর্তৃপক্ষ। তবে আবেদনকারীরা একেকজন তিনটি করে স্কুল পছন্দের তালিকা দিলেও শুধুমাত্র নোটিশকৃত স্কুলের একটির নাম থাকলেই আবেদনটি গ্রহন করছেন না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাইয়ার সুলতানা জানান, অনলাইন বদলির সিস্টেমে স্থানীয়ভাবে এডিট করার কোনো সুযোগ নেই। তাই নোটিশ বোর্ডে দেওয়া নির্ধারিত স্কুলগুলোতে যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদনগুলো বদলি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো যাচ্ছেনা। তবে বিষয়টির জটিলতা নিরসনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।

জানুয়ারি ১২, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: