• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

অপরাধ

আজিজুলের খুনিদের ফাঁসি চায় তার স্ত্রী ও বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 আপডেট: ১৬:৫৭, ২৬ আগস্ট ২০২২

আজিজুলের খুনিদের ফাঁসি চায় তার স্ত্রী ও বাবা

নিহত আজিজুল ইসলাম

‘সঠিক তথ্য যাচাই না করে ডাকাত, খুনের মামলা আসামি হিসেবে আমার নিহত ছেলের নামে বদনাম করা হয়েছে। তা কাম্য নয়। খুনের মামলাগুলো ছিল মিথ্যা হয়রানীমুলক, যা কোর্টে প্রমানিত হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যার সঠিক তদন্তে এসপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি, সেই সাথে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করছি’, কান্নাজরিত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নিহত আজিজুল ইসলামের বাবা মো. আব্দুল কাদির।

ছেলে সম্পর্কে আজিজুলের বাবা সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে আজিজুল বাড়িতে গরুর খামার, কৃষি কাজ ও ব্যবসা করতো। শ্যামগঞ্জে জারিয়া মোড়ে তার ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। সে খারাপ হলে তার জানাজায় দুই-তিন হাজার লোক হতো না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয়রা সকালে মইলাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর লামাপাড়া ব্রিজের নিচে একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

পরে নিহত ব্যক্তিকে পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের নিবাসী আব্দুল কাদিরের ছেলে মোঃ আজিজুল ইসলামের বলে শনাক্ত করা হয়।

গৌরীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের শেষে ওইদিন রাতে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের করা হয়েছে। পরে নিজ গ্রামে জানাজার শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানায় নিহতের পিতা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং৩৬১৫(৩)/১ তারিখ ২২-৮-২২।

নিহত আজিজুল ইসলাম প্রসঙ্গে মহিষবেড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হেকিম বলেন, ‘আজিজুল খুব ভালো ছেলে ও জনদরদী ছিলেন। আমার জানা মতে সে কোনো খারাপ কাজের সাথে জরিত ছিল না।’

পূর্বধলা উপজেলার সন্তান কমান্ডের অন্যতম নেতা মোজাম্মেল হক জানান, ‘আজিজুল পরোপকারী, সমাজসেবক, ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকতেন। মানুষের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। সঠিকভাবে দেন-দরবারে করতেন। স্বার্থাস্বেষীদের পথের কাঁটা সরানো জন্য এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হউক।’

বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন নিহত আজিজুলের স্ত্রী মারুফা আক্তার। তাকে ঘিরে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন। সকলের চোখেই জল। 

মারুফা আক্তার বলেন, স্বার্থান্বেষী ও কিছু কুচক্রীমহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করতো। এমনকি তার জন্মের ৮/৯ বছরের আগের ঘটনায় তাকে আসামী করা হয়েছিল। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খুন হয়েছে।

তাদের  মুখে একটাই দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সকলের শাস্তি চাই। দোষী সকলের ফাঁসি চাই।

আগস্ট ২৬, ২০২২

রায়হান/এবি/

মন্তব্য করুন: