• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

ফিচার

নতুন করে আশার আলো জাগাচ্ছে বিরল প্রজাতির পাখি

পাবনা প্রতিনিধি

 আপডেট: ১০:০২, ২২ জুলাই ২০২২

নতুন করে আশার আলো জাগাচ্ছে বিরল প্রজাতির পাখি

ছবি: সৈকত ইসলাম

পাবনা: পাবনার চাটমোহরে একসময় অনেক প্রজাতির পাখির বিচরণ থাকলেও কালের বিবর্তনে অনেক পাখিই এখন আর চোখে পরে না। পাখির আবাস স্থল ধংস ও খাদ্যশৃঙ্খল ব্যহত হওয়ায় চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলায় অনেক পাখি বিলুপ্ত হলেও বর্তমান সময়ে বিরল প্রজাতির কিছু পাখি নতুন করে যেন আশা আলো জাগাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহরের হান্ডিয়াল ও নিমাইচড়া ইউনিয়নের নিচু জলাশয় ও ফসলের খেত, হরিপুর ইউনিয়নের ডাকাতের ভিটা সংলগ্ন খাল, উপজেলার বিভিন্ন বিলের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালের পার্শ্ববর্তী ঝোঁপ-ঝাড়, ফসলের ক্ষেত এবং মূলগ্রাম ইউনিয়নের চিরইল এলাকা বেশি পাখি দেখা যায়। 

অতীতে এক শ্রেণীর পাখি শিকারী পাখি ধরে বিক্রি করলেও সরকারের প্রচারণা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের সচেতনতায় মানুষের পাখি শিকারের প্রবনতা অনেকটা কমে এসেছে।

চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার কলেজ শিক্ষক কামরুজ্জামান সময়বিডি.কম-কে জানান, ফসলের ক্ষেত, ফল ও ফুলবাগানসহ অন্যান্য স্থানে অসংখ্য ছোট বড় বিভিন্ন জাতের পোকা মাকড় থাকে। পাখিরা ক্ষতিকর পোকা মাকড় খেয়ে ওদের বংশ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি আরো জানান, এখন থেকে বছর বিশেক আগেও চাটমোহরে বাবুই, কাঁক, শকুন, টিয়া, পেঁচা দেখা গেলেও বর্তমানে এ পাখিগুলো আর দেখা যায় না।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম সময়বিডি.কম-কে জানান, চাটমোহরে লালকান চটক, দেশি সোনা বউ, বাংলা বাবুই, দেশি চাঁদী ঠোট, লালমুনিয়া, হলদে পা হরিয়ান, নীলকন্ঠ, জলময়ূর, লম্বা লেজ বিশিষ্ট শাহ বুলবুল, নীল গলা ফিদ্দা, ইন্ডিয়ান গোল্ডেন ওরিয়ন, ইষ্টিকুটুম, এশিয়ান কোয়েল, এশিয় বস্ত বউরি, করুন পাপিয়া, কালিম, চড়ুই, ডাহুক, তাইগা চুটকি, দাগী ছাতারেসহ বিভিন্ন পরিচিত ও বিরল পাখি রয়েছে।

তিনি আরো জানান, চাটমোহরে বদলি হয়ে আসার পর অনেক পাখি দেখে অভিভূত হই। এ পর্যন্ত ৭৮ রকমের পাখির ছবি তুলেছি। পাখির প্রজাতির সংখ্যা যখন কমছে এমন সময়েও চাটমোহরে বিরল প্রজাতির পাখিগুলো আশার আলো দেখাচ্ছে।

পাখি কমে যাওয়ার সমস্যা সম্পর্কে তিনি জানান, পুকুরে, ফল গাছে মানুষ কীটনাশক প্রয়োগ করছে। ফসলের খেতে প্রচুর পরিমানে কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি জমির আগাছা, ঘাস, বাসা-বাড়ির আঙিনার বেড়ে ওঠা ঘাস নির্মুলেও মানুষ কীটনাশক ব্যবহার করছে। পাখিগুলো তো খাল, বিল, জলাশয়, ফল বাগান, ফসলের মাঠেই থাকে এবং এসব স্থান থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে। পাখির খাবারের উৎসে কীটনাশক প্রয়োগ অব্যাহত থাকলে পাখি মারা যাবে। অতিথি পাখি আসবে না। তাই পাখি বাঁচাতে আরো বেশি জনসচেতনতা প্রয়োজন।

জুলাই ২২, ২০২২

আইকেআর/এবি/

মন্তব্য করুন: