• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

তাড়াশের কুমড়ো বড়ির কদর রয়েছে দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ১৮:২৮, ২৭ নভেম্বর ২০২২

তাড়াশের কুমড়ো বড়ির কদর রয়েছে দেশজুড়ে

ছবি: সময়বিডি.কম

সিরাজগঞ্জ: শীত আসতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ব্যস্ততা বেড়ে যায় কুমড়াে বড়ি তৈরির কারিগরদের। কারণ, শীত মৌসুমে কুমড়াে বড়ির কদর অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। এ অঞ্চলের সুস্বাদু কুমড়াে বড়ির চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তাই প্রতিবছরের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়াে বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বড়ির কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের অনেকের ভাগ্য উন্নয়নে শ্রম দিয়ে অনেক বছর ধরে এ কুমড়াে বড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের প্রায় ৩০-৪০টি পরিবার।

নওগাঁ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়াে বড়ি তৈরি করে শুকানোর জন্য সারি করে রোদে দিয়ে রেখা হয়েছে। এই কাজে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও শ্রম দিচ্ছেন।

কুমড়াে বড়ি ব্যবসায়ী আলম হোসেন সময়বিডি.কম-কে বলেন, হাট-বাজারে কুমড়ো বড়ি বর্তমানে খুচরা ১২০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে তারা আশা করছেন আর কয়েকদিন পর আরো দাম বাড়বে। কারন এ বছর ডালের দাম বেশি তাই কুমড়া বড়ির দামও বেড়েছে।

তাড়াশ উপজেলার কুমড়াে বড়ির কারিগর মকবুল জানান, অত্যান্ত সুস্বাদু হওয়ায় এ অঞ্চলের কুমড়াে বড়ি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। বিশেষ করে ঢাকায় চাহিদা রয়েছে বেশি।

তিনি আরো জানান, এটি সারাবছর তৈরি করা সম্ভব, কিন্তু এটা শীতকালে বেশি তৈরি হয়। কারন এটা শীতের সময় সবজির সঙ্গে রান্না করে খেতে বেশি মজা লাগে। 

এদিকে কুমড়াে বড়ি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, আগাম কুমড়াে বড়ি তৈরির পর বিক্রি করলে তা লাভজনক হয় ও বেশি দাম পাওয়া যায়। 

উপজেলার নওগাঁ গ্রামের ভাংশিং পাড়ার আব্দুল জানান, আগে কুমড়াে বড়ি ব্যবসায়ী পরিবারগুলো প্রথম অবস্থায় তেমন সচ্ছল ছিল না। এখন তারা অনেকটাই সচ্ছল কুমড়াে বড়ির ব্যবসা করে। তাছাড়া বড়ি তৈরির জন্য আগে তারা সনাতন পদ্ধতিতে সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রাখতেন এবং পরের দিন তারা কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য ডাল বেটে, রং ও তেল মিশিয়ে টিন ও শীলপাটিতে বড়ি তৈরি করতেন।  কিন্তু বর্তমানে তাদের কষ্ট করতে হয় না। এখন মেশিনের মাধ্যেমে কুমড়াে বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা যায়।

কুমড়াে বড়ি তৈরির কারিগর জুলেখা জানান, কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন অতোটা পরিশ্রম করতে হয় না কারন এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল ফিনিশ করা হয়। শুধু হাতে দিতে হয় বড়িটি। এ ছাড়া বর্তমানে অটোমেশিনের দ্বারা ডাল ও চাল ভাঙ্গানো হয়। তাই পরিশ্রম এখন কম।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, এ অঞ্চলের কুমড়াে বড়ির কদর রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পুরুষের চেয়ে নারীরা বড়ি তৈরির কাজ বেশি করেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২২

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: