তাড়াশে গমের ফলনে খুশি কৃষক

ছবি: সময়বিডি.কম
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলতি রবি মৌসুমে গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। বাজারে দামও ভালো, তাই চাষীরা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এবার বারি ৩০, ৩১, ৩৩, ২৫ ও ২৬ জাতের গম চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ ও বাড়তি পরিচর্যার কারণে এ বছর গমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমিতে গম বীজ বপন করা হয়। ফাল্গুনের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে গম কাটা-মাড়াই শুরু হয়। যদিও ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহিষলুটি, সাকুয়াদিঘী, মালিপাড়া, চৌপাকিয়া গ্রামে, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের চরহামকুড়িয়া, হামকুড়িয়া, সগুনা ইউনিয়নের নাদো সৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ি, ভেটুয়া, ধাপতেতুলিয়া গ্রামের মাঠগুলোতে বোরো ধানের পাশাপাশি গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয় নওগাঁ ইউনিয়ন।
মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল সময়বিডি.কম-কে বলেন, এ বছর ১ বিঘা জমিতে গমের চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে দামও ভালো তাই লাভবান হবো বলে আশা করছি। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে খরচ হয় ৬ হাজার টাকা এবং ফলন হয় ১২ থেকে ১৫ মণ। বর্তমানে মণ প্রতি গমের দাম ২ হাজার টাকা।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সময়বিডি.কম-কে জানান, চলতি বছরে ২৯০ জন কৃষককে গম চাষের জন্য প্রনোদনা দেওয়া হয়। এ বছর তাড়াশ উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারনে গমের দাম উর্ধ্বমুখী। তাই গমের চাষ বৃদ্ধির জন্য, প্রনোদনা, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। গমের আবাদে বোরো ধানের তুলনায় খরচ কম হওয়ায় চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এ বছর বাজার দরও ভালো তাই গম চাষিরা লাভবান হবেন।
মার্চ ১৮, ২০২৩
মৃণাল সরকার মিলু/এবি/
মন্তব্য করুন: