• ঢাকা

  •  শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

ভিনদেশ

তিউনিসিয়ায় নতুন সংবিধান, থাকছে না রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম!

নিউজ ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৬ জুন ২০২২

তিউনিসিয়ায় নতুন সংবিধান, থাকছে না রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম!

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় নতুন সংবিধান তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি চলছে সংবিধান নিয়ে। এটা নিয়ে খসড়া তৈরি শুরু হয়েছে। এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েশ সৈয়দ জানিয়েছেন, সংবিধানে আর তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে না।

আরব নিউজ জানায়, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে নতুন খসড়া সংবিধানে ইসলাম 'রাষ্ট্রের ধর্ম' হিসেবে আর থাকছে না। এ নিয়ে ২৫ জুলাই একটি গণভোট হবে।

অর্থাৎ তিউনিশিয়া আর ইসলামিক স্টেট থাকছে না। রাষ্ট্রপতি সৈয়দ জানান, আমরা এমন একটা স্টেটের কথা বলছি না, যেখানে ধর্ম ইসলাম। কিন্তু আমরা এক রাষ্ট্রের কথা বলছি, সেখানে ধর্ম ইসলাম। জাতি দেশের চেয়ে আলাদা হয়। 

আসলে রাষ্ট্রপতি বলতে চেয়েছেন, তিউনিসিয়ার সরকারি ধর্ম কিছু হবে না, কিন্তু কিন্তু রাষ্ট্র হিসেবে ইসলাম থাকবে। এ নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবস্থাতে সংশোধন হতে চলেছে। সেই উদ্দেশ্যে এক থাপ এগিয়েছেন তারা। যদিও তাদের এই পদক্ষেপ প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক দলকে দুর্বল করার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিউনিশিয়াতে সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। খসড়া কমিটির প্রধান আইন বিশেষজ্ঞ সাদেক বেলাইদ এই মাসের শুরুর দিকে এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রতি চ্যালেঞ্জের জন্য নতুন নথি থেকে ইসলামের সমস্ত রেফারেন্স মুছে দেবেন।

তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট সৈয়দকে যে খসড়া দেয়া হবে, তাতে এমন কোনো সংকেত নেই যেখানে মনে হয় তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।

তিউনিসিয়া ২০১৪ সালের সংবিধানের চ্যাপ্টার ওয়ান এর প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়ার একটা স্বতন্ত্র এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং ইসলাম এর ধর্ম এবং আরবি এর ভাষা। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

তিউনিশিয়ায় নতুন সংবিধান ২০১৪ সালে তৈরি সংবিধানের জায়গা নেবে।

দেশটির ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষ এবং মানবাধিকার সংগঠন প্রেসিডেন্টকে সংবিধান অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এটি তার নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে তৈরি করা হচ্ছে।

নতুন সংবিধান গ্রহণ করতে চলা সরকারি পদ্ধতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সৈয়দ জানান, মামলার প্রেসিডেন্ট বা সংসদীয় প্রণালীর নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রতা সমস্ত লোকের জন্য এবং বাকি সব কার্যপালিকার কাজ। সংবিধানে বিধায়িকা, কার্যপালিকা এবং নগরপালিকার কাজকর্মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: