• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

খেলার মাঠে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিখ্যাত আম্পায়ার এখন জুতো বিক্রেতা!

নিউজ ডেস্ক:

 আপডেট: ০৯:১৭, ২৫ জুন ২০২২

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিখ্যাত আম্পায়ার এখন জুতো বিক্রেতা!

এটাই জীবন। সময় এবং ভাগ্য কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায় কেউ জানে না। এর একটি উদাহরণ পাকিস্তানের বিখ্যাত আম্পায়ার আসাদ রউফ। যিনি ১৭০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। এখন তিনি পাকিস্তানের লাহোরের বাজারে পুরনো জুতো বিক্রি করেন।

পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রউফের এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ক্রিকেটের সঙ্গে এখন তার কোনো সম্পর্ক নেই। খবরও রাখেন না। এখন তার মাথায় শুধু ব্যবসা।

আসাদ রউফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জীবনে অনেক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছি। আর নতুন করে কিছু দেখার নেই। ২০১৩ সালের পর থেকে খেলার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই। পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছি।

২০১২ সালে রউফের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন এক মডেল। এখনও তিনি ওই ঘটনা স্বীকার করতে চান না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মেয়েটি অভিযোগ করার পরের মরসুমেও আইপিএলে আমি আম্পায়ারিং করেছিলাম।'

তবে তিনি এটা মানছেন, ওই ঘটনা কিছুটা হলেও তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল। 

রউফের জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছিল ২০১৬ সালে। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। ২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল রউফের। অভিযোগ ছিল, জুয়াড়িদের থেকে দামি দামি উপহার এবং টাকা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

২০১৩ সালের পর থেকেই ক্রিকেটের মূলস্রোত থেকে দূরে সরতে থাকেন রউফ। তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আর ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।

সেই প্রসঙ্গে রউফ বলেন, 'জীবনের সেরা সময় আইপিএলে কাটিয়েছি। লান্ডা বাজারে যে দোকান রউফ চালান, সেখানে পুরনো জামাকাপড়, জুতো কম দামে পাওয়া যায়।'

হঠাৎ করে এরকম একটা দোকান তিনি খুলতে গেলেন কেন? রউফ বলেন, 'আমার কর্মচারীদের জন্য এই কাজ করি। ওদের সংসার যাতে চলে, সেটার চেষ্টা করি। কোনো লোভ নেই। অনেক টাকা দেখেছি জীবনে। আম্পায়ার হিসেবে নিজের সেরাটা দিয়েছিলাম। এখন ব্যবসায়ী হিসেবে সেরাটা দিতে চাই। কিছু মানুষ আমাকে ঘিরে বেঁচে থাকতে পারলে ক্ষতি কি?'

জুন ২৫, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: