• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ভিনদেশ

নেপালে কিছু বিমান দুর্ঘটনার খবর

অনলাইন ডেস্ক:

 আপডেট: ১৯:০৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩

নেপালে কিছু বিমান দুর্ঘটনার খবর

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা একেবারে বিরল নয়। গত এক যুগে নেপালে অন্তত আটটি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে যাত্রী ও ক্রু মিলে অন্তত ১৬৬ জন নিহত হয়েছেন।

বিশ্বের সর্বোচ্চ ১৪টি পর্বত শৃঙ্গের আটটি নেপালে অবস্থিত। যার মধ্যে হিমালয় অন্যতম। নেপালে যেকোনো সময় পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং পাহাড়ের মাঝে কঠিন এয়ারস্ট্রিপ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

পেছন ফিরে দেখে নিই নেপালে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার খবর-

জানুয়ারি ২০২৩: ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল। বাকী দুইজনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফের ২০ মিনিটের মধ্যেই কাস্কি জেলার কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

মে ২০২২: পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী টুইনঅটার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২ জন নিহত।

এপ্রিল ২০১৯: লুকলা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি হেলিকপ্টারের সাথে সামিট এয়ারের একটি বিমানের সংঘর্ষে তিন জন নিহত।

ফেব্রুয়ারি ২০১৯। এয়ার ডাইনাস্টির একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন সংস্কৃতি, পর্যটন ও বিমান চলাচল মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারীও ছিলেন।

সেপ্টেম্বর ২০১৮: গোর্খা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এয়ার অলটিচ্যুডের একটি হেলিকপ্টার জঙ্গলের মধ্যে বিধ্বস্ত হলে ছয়জন নিহত হয়। এদের একজন ছিলেন এক জাপানী পর্যটক।

মার্চ ২০১৮: বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন নিহত হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পোখারা থেকে জমসম যাওয়া তারা এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৩ জন নিহত।

জুন ২০১৫: ডক্টর্স উইদআউট বর্ডার্সের ভাড়া করা হেলিপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চার জন নিহত। তারা ভূমিকম্প পরবর্তী ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।

মে ২০১৫: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে নিয়োজিত মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ছয়জন আমেরিকান সৈন্য, দুইজন নেপালী সৈন্য এবং ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়।

মার্চ ২০১৫: একটি তুর্কী বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লে ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চারদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১৪: পোখারা থেকে জুমলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নেপাল এয়ারলাইন্স কর্পোরেশনের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০১২: কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সিতা এয়ারের বিমান ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১৯ জনের সবাই নিহত হয়।

মে ২০১২: পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে ভারতীয় তীর্থযাত্রী বহনকারী অগ্নি এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০১১: বুদ্ধা এয়ারের একটি বিমান কাঠমান্ডুর কাছে বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে নেপালী, ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন।

ডিসেম্বর ২০১০: লামিডান্ডা থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন যাত্রী ও তিন জন ক্রু নিহত।

আগস্ট ২০১০: কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিমান বিধ্স্ত হয়ে ১৪ জন নিহত।

অক্টোবর ২০০৮: লুকলা বিমানবন্দরে একটি বিমান অবতরণের সময়ে বিধ্বস্ত হলে ১৮ জন নিহত ও একজন আহত হয়।

সেপ্টেম্বর ২০০৬: শ্রী এয়ারের হেলিকপ্টার বিধ্স্ত হয়ে ২৪ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তখনকার বন ও ভূমি রক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোপাল রাই, পরিবেশবিদ ড. হার্ক গুরুং, ড. সিবি গুরুং ও তীর্থমান মাস্কে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: