• ঢাকা

  •  সোমবার, মে ১২, ২০২৫

মত-অমত

বাংলাদেশের গণতন্ত্র: স্বৈরাচারের ছায়া থেকে জনঅভ্যুত্থানের আলোয় পথচলা

জামান সরকার

 আপডেট: ১৪:৫৯, ১১ মে ২০২৫

বাংলাদেশের গণতন্ত্র: স্বৈরাচারের ছায়া থেকে জনঅভ্যুত্থানের আলোয় পথচলা

জামান সরকার

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও, গত দুই দশকে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো কারচুপি, একতরফা প্রক্রিয়া এবং সহিংসতার অভিযোগে কলঙ্কিত হয়েছে। এই নির্বাচনগুলোর পেছনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়ে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা দেখিয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আগমন বাংলাদেশকে একটি নতুন নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। এই প্রতিবেদনে অতীতের নির্বাচনের সাফল্য-ব্যর্থতা, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর ঘটনা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

অতীতের নির্বাচন: সাফল্য, ব্যর্থতা এবং শিক্ষা-

১৯৮২-১৯৯০: এরশাদের স্বৈরশাসন ও নির্বাচনি কলঙ্ক
হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। তার নেতৃত্বে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনগুলো কারচুপি এবং সামরিক প্রভাবের অভিযোগে কলঙ্কিত হয়। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ অংশ নিলেও বিএনপি বর্জন করে, এবং ১৯৮৮ সালে উভয় দল বর্জন করায় নির্বাচন জনগণের আস্থা হারায়। ১৯৯০ সালে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করেন, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তনের পথ সুগম করে। এরশাদের শাসন দেখায় যে, জনগণের সমর্থন ছাড়া স্বৈরাচারী শাসন টিকে থাকতে পারে না।

১৯৯১-২০০১: খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা
বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল, এবং ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ। খালেদা জিয়ার প্রথম (১৯৯১-১৯৯৬) এবং দ্বিতীয় (২০০১-২০০৬) শাসনকাল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে। তবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক সহিংসতা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বিতর্কিত হলে গণআন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন। তার নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি স্থাপন করে।

২০০৮: গণতন্ত্রের উজ্জ্বল মুহূর্ত
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে, এবং ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮৭ শতাংশের বেশি। কমনওয়েলথ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকরা এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলে প্রশংসা করেন। এটি প্রমাণ করে যে, নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হতে পারে।

২০১৪-২০২৪: অসুষ্ঠু নির্বাচনের কালো অধ্যায়
২০১১ সালে শেখ হাসিনার সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলে নির্বাচনি প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি বর্জন করায় ১৫৪টি আসনে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। ভোটার উপস্থিতি ছিল নগণ্য, এবং সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হন। ২০১৮ সালে ‘মধ্যরাতের নির্বাচন’ নামে কুখ্যাত ব্যালট বাক্স ভর্তির অভিযোগ উঠে। মৃত ব্যক্তির নামে ভোট এবং ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোটের হার নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে। ২০২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির বর্জনের কারণে ভোটার উপস্থিতি ১৮ শতাংশে নেমে আসে, যা ইতিহাসে সর্বনিম্ন। জাল ভোট এবং ‘ডামি’ প্রার্থীদের ব্যবহার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই নির্বাচনগুলোকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে সমালোচনা করে।

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন: গণতন্ত্রের ধ্বংস
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও, তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হ্রাস এবং মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় কারাবাস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীর গ্রেপ্তার রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারে সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করা হয়। এই নীতিগুলো ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের অসুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করে, যা জনগণের ভোটাধিকার হরণ এবং গণতন্ত্রের ক্ষয় ডেকে আনে।

জুলাই আন্দোলন ও ৫ আগস্ট ২০২৪: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন শিগগিরই শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থান সরকারের দমননীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদে পরিণত হয়। ৫ আগস্ট ২০২৪, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়, যখন তীব্র জনরোষ এবং ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই ঘটনার পর রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন, এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা জনগণের শক্তি এবং গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে।

তারেক রহমানের ভূমিকা: বিএনপির নতুন দিশা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে একাধিক মামলা হলেও, ২০২৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই মামলাগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও নির্বাচনি প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের উপর জোর দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিএনপির ৩১-দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন- যা রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং সমাজের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। 

তিনি বলেন, “বিএনপি কেবল জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়ার দল নয়, এটি জনগণের দল।” 

তার নেতৃত্বে বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

বর্তমান প্রেক্ষাপট: ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সম্ভাবনা:
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার নিরপেক্ষ ইমেজ এবং সামাজিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা জনগণের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। তবে, তিনি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি-

১) নিরপেক্ষতার প্রশ্ন: অতীতের নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ছিল। নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠন ড. ইউনূসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
২) জনগণের অবিশ্বাস: অসুষ্ঠু নির্বাচনের কারণে ভোটারদের মধ্যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালে ভোটার উপস্থিতি সর্বনিম্ন ছিল।
৩) রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি: বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিনের দমনের কারণে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। তাদের পুনর্গঠনের জন্য সময় প্রয়োজন।
৪) রাজনৈতিক সংলাপের অভাব: বিএনপি এবং বিভিন্ন দলের মধ্যে অবিশ্বাস বিরাজমান। তাই সংলাপ ছাড়া নির্বাচন একতরফা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
৫) অনুকূল পরিবেশ: নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ‘অনুকূল পরিবেশ’ এখনো তৈরি হয়নি।

সমাধানের পথ: সুষ্ঠু গণতন্ত্রের রোডম্যাপ:
২০০৮ সালের নির্বাচন এবং অতীতের শিক্ষা থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-
নির্বাচনি সংস্কার: নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং সকল দলের অ্যাজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার: ১৯৯১ এবং ২০০৮ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা সব দলের আস্থা অর্জন করতে পারে।
রাজনৈতিক সংলাপ: রাজনৈতিক সংলাপ: বিএনপি, জামাতে ইসলাম, এনসিপি এবং অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা স্বৈরশাসন রোধ এবং সংখ্যালঘু দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারে।
জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা: নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।

উপসংহার:
জুলাই আন্দোলন এবং ৫ আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচার, বেগম খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা, শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসন এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির পুনর্জাগরণের পর বাংলাদেশ এখন একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে সুযোগ রয়েছে অতীতের অসুষ্ঠু নির্বাচনের কলঙ্ক মুছে ফেলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করার। এই নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার পুনর্বহাল করবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে। সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ গণতন্ত্রের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যা জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, ফিনল্যান্ড বিএনপি

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: