হামলার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

ছবি- সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পূর্বের একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় এক বছর পর হামলার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে মো. জুয়েল মাহমুদ নামে এক ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ (১২ মে) সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামে জুয়েল মিয়ার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জুয়েল মাহমুদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, গত বছরের ১৫ মার্চ কাকনহাটি গ্রামের আবুল বাশার ও আবুল খায়েরকে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের আবদুল আজিজ ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে। মারধরের ঘটনায় আবদুল আজিজ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় জুয়েল মাহমুদের ভাই শহিদুল ইসলাম ফকির ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী দেন। এ ঘটনার জের ধরেই সম্প্রতি একটি মিথ্যা হামলার ঘটনার নাটক সাজিয়ে আবদুল আজিজের স্ত্রী শরিফা আক্তার বাদি হয়ে জুয়েল মাহমুদ, তার ভাই ও ভাতিজাকে আসামিকরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জুয়েল মাহমুদ আরো বলেন, শরীফা আক্তার যাদেরকে এ মামলার সাক্ষী হিসেবে নাম উল্লেখ করেছেন তাদের কেউই দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় উপস্থিত নেই। শুধু তা-ই নয়, মামলার আসামি হিসেবেও যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যেও কয়েকজন বিভিন্ন জায়গায় কর্মস্থলে রয়েছেন। এ ছাড়া যেই তারিখে মারধরের কথা বলা হয়েছে ওইদিন এলাকায় এমন কোনো ঘটনায় ঘটেনি। পূর্বে আরেক পক্ষের সাথে মারধরে মাথায় জখমের ছবি দেখিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, এদের কাজেই হচ্ছে মতের অমলি হলেই মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা। পূর্বেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। সত্যিই যদি এমন ঘটনা ঘটতো তাহলে অন্তত কেউ না কেউ জানতো।
হামলার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কতগুলো নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী শরিফা আক্তার বলেন, এদের সঙ্গে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল আমার স্বামীর। সেই বিরোধের জেরেই আমার স্বামীর ওপর হঠাৎই হামলা চালায় আসামিরা। আমার স্বামীকে মারধরের একপর্যায়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। যেকারণে এলাকাবাসী কেউ টের পায়নি। আর বিদ্যুৎের লাইনে সমস্যা থাকায় সিসিটিভির ফুটেজে ভিডিও সংগ্রহ হয়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত কাজ চলমান। মিথ্যা প্রমাণিত হলে বাদীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসবিডি/ওবায়দুর রহমান
মন্তব্য করুন: