• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

লন্ডনে উচ্চশিক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন ব্যারিস্টার জহিরুল

বিশেষ প্রতিনিধি

 আপডেট: ১৪:৪২, ২৩ মে ২০২২

লন্ডনে উচ্চশিক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন ব্যারিস্টার জহিরুল

ছবি: সময়বিডি.কম

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা): নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরশহরের চন্দ্রগাতী গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য লন্ডন যান ২০১০ সালে। দীর্ঘ এক যুগ লন্ডনে কাটিয়ে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করে রবিবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন তিনি।

দীর্ঘদিন পর তার গ্রামে ফেরার খবরে এলাকাবাসীসহ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধ-বান্ধবদের মাঝে আনন্দ, উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। তাকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড মাঠে ছুটে যান কয়েকশ' মানুষ।

জানা যায়, লন্ডন থেকে দু'দিন আগে এসে ঢাকায় অবস্থান করার পর রবিবার দুপুর একটার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার করে কেন্দুয়া আসেন ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলাম। এ সময় কেন্দুয়া পৌরসভার কমিশনার গোলাম জিলানী, মো. সুমন ও এরশাদ মিয়াসহ কয়েক শতাধিক লোক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারপর ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলামকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বাড়িতে পৌঁছে দেন তারা।

জানা যায়, ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলাম ২০০৩ সালে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে ২০০৫ সালে এইচএসসি পাশ করে ব্রিটিশ কাউন্সিলে ভর্তি হন। ২০০৭ সালে এ-লেভেল ডিগ্রি অর্জন শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান লন্ডনে। লন্ডনের আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ২০১৮ সালে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেন।

লন্ডনে লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি লন্ডনে যুবলীগের ইমিগ্রেশন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সেইসাথে তিনি টিউলিপ সিদ্দিকীর একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও কাজ করেন। 

দীর্ঘদিন পর তাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা। প্রতিবেশিরাও ছুটে এসেছেন তাকে এক নজর দেখতে।

ব্যারিস্টার জহিরুল ইসলাম ডিজিজটাল সংবাদমাধ্যম সময়বিডি.কম-কে জানান, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ২০১০ সালে লন্ডনে যাই। আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান দর্শন বিভাগে অধ্যায়নরত আছি।

তিনি আরো জানান, আমি আগে থেকেই ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। সেখানে যুবলীগের ইমিগ্রেশন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। টিউলিপ সিদ্দিকীর একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও কাজ করেছি। তাছাড়া লন্ডনে থেকেও বাবা ও ভাইয়ের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে সাহায্য সহায়তা করে আসছি। 

লেখাপড়া শেষে এলাকায় থেকে মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবেন বলেও জানান তিনি।

মে ২৩, ২০২২

এসএবি/এবি/

মন্তব্য করুন: