• ঢাকা

  •  রোববার, জুন ২৯, ২০২৫

জীবন-যাপন

কতো রকমের চুম্বন হয়? না জানলে জানুন

নিউজ ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ১১ জুলাই ২০২২

কতো রকমের চুম্বন হয়? না জানলে জানুন

চুমু, চুম্বন, কিস... আহ্ কি শিরশিরে অনুভূতি। শৈশবে এটার ভাষা অনুমান করতে না পারলেও কৈশোর থেকেই এর মানেটা বুঝতে শুরু করে। আর যৌবনে তো এর মানেটাই পাল্টে যায় অনেক ক্ষেত্রে। কিস ডে বা চুমু দিবস বলে বছরে একটা বিশেষ দিন আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে এই দিনটি পালন শুরু হয় বলে মনে করেন অনেক। কিন্তু চুমু মানেই কি একরকম? নাকি তারও প্রকারভেদ আছে? যদি জেনে থাকেন তাহলে তো হলোই। আর যদি না জানেন তাহলে জেনে নিন।

১) ফ্রেঞ্চ কিস:
ঠোঁটের অন্দরে অন্দরে কথা হয় এই চুমুতে। জিভ ছুঁয়ে যায় মুখের ভিতরের জমি। এমন নামকরণের কারণ হলো, বিংশ শতকের গোড়ায় ফ্রান্সে এই ধরনের চুমু খাওয়া শুরু হয়েছিল। ফরাসীরা বরাবরই যৌনতায় নতুন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসে। সেখান থেকেই এই চুমু আর তার নামের উৎপত্তি।

২) এস্কিমো কিস:
নাকে নাক ঘষে আলতো আদর। এই হলো এস্কিমো কিস। প্রথম এই বিষয়টি সকলের নজরে পড়ে এস্কিমোদের জীবন নিয়ে ১৯২২ সালে তোলা রবার্ট ফ্লহার্টি’র পৃথিবীবিখ্যাত তথ্যচিত্র ‘নানুক অফ দ্য নর্থ’-এ।

৩) সিঙ্গল-লিপ কিস:
একজনের ঠোঁটের ফাঁকে যখন আর একজনের ঠোঁট থাকে, অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো, তখন তাকে বলে সিঙ্গল-লিপ কিস। প্রেমের প্রথমদিকে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে এমন কিস খুবই রোমান্টিক।

৪) বাটারফ্লাই কিস:
চুমু খাওয়ার সময় যদি দু’জনের চোখের পাতা ঠেকাঠেকি হয়ে যায় তবে প্রজাপতির পাখার মতোই ডানা ঝাপটায়। তেমন চুমুই হলো বাটারফ্লাই কিস।

৫) ম্যারাথন কিস:
এমন চুমুর কোনো সময়জ্ঞান থাকে না। এ হলো অনন্ত চুম্বন যার শুরু আছে কিন্তু কোনো শেষ নেই।

৬) স্পাইডারম্যান কিস:
স্পাইডারম্যান কীভাবে চুমু খায় বলুন তো? সে ঝোলে শূন্য থেকে উলটো হয়ে আর তার প্রেমিকা দাঁড়িয়ে থাকে মাটিতে। কিন্তু তাতে প্রেমের গভীরতার কোনো অভাব থাকে না। অভিনব নিঃসন্দেহে। শূন্যে ঝুলতে হবে না, বিছানায় শুয়েই এমন মিষ্টি চুমু খেতে পারেন।

৭) লিপগ্লস কিস:
এ হল প্রেম-খেলার চুমু। সঙ্গীর ঠোঁটে লিপগ্লস বা লিপস্টিক মাখিয়ে দেয়া হয় আগে। তার পর মুহুর্মুহু চুম্বন যতক্ষণ না একজনের ঠোঁটের রং সম্পূর্ণভাবে চলে যায় অন্যজনের ঠোঁটে।

৮) লিজি কিস:
জিভ দিয়ে একে অপরের ঠোঁট লেহনই হল লিজি কিস। বেশ একটা কিংকি ভাব রয়েছে গোটা ব্যাপারটায়।

৯) অ্যাঞ্জেল কিস: 
চোখের পাতায় দেয়া চুমু। প্রচলিত ধারণা হলো, অ্যাঞ্জেলরা ঘুমের মধ্যে এসে চোখের পাতায় চুমু দিয়ে যায়। প্রেমে কতটা মাধুর্য রয়েছে তা বোঝা যায় এই চুমুতে।

১০) টিজিং কিস: 
ঠোঁট ছাড়িয়ে সারা শরীরে যখন ছড়িয়ে যায় চুমু, তখন তাকে বলে টিজিং কিস। যতো ভাল হয় এই চুম্বন, ততোই জমে ওঠে ফোর-প্লে।

১১) আইসি কিস:
একটি ছোট্ট আইস কিউব থাকে দুই ঠোঁটের মধ্যে, যা চালাচালি হয় একে অপরের মুখে আর বরফিলা শিহরণে আরো উত্তেজক হয়ে ওঠে চুম্বন।

১২) জুসি কিস:
বরফের বদলে একটি রসালো ফল নিয়ে এই চুমু। আদরে আদরে ফলের নির্যাসটুকু এক ঠোঁট থেকে অন্য ঠোঁটে ছড়িয়ে যায় আর ক্রমেই আরাে সুস্বাদু হয়ে ওঠে আদর।

১৩) টিথ বাইট কিস: 
গভীর চুমু খেতে খেতে দাঁত যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন চুমুর নামও পাল্টে যায়। অবশ্যই আগ্রাসক এই চুমু। কিন্তু এই আগ্রাসন একান্ত প্রেমময়।

১৪) ভ্যাম্পায়ার কিস: 
যেমন রক্তচোষারা দাঁত বসায় ঘাড়ে, তেমন করেই আলতো করে কামড়ে কামড়ে চুমুই হলো ভ্যাম্পায়ার কিস। ঠিকঠাক এই চুমু খেলে উত্তেজনা বাড়ে প্রবল ভাবে।

১৫) অ্যাবস্ট্রাক্ট কিস: 
ঠোঁট থাকে একটু দূরে দূরে আর জিভে জিভে কথা হয়। গভীর বন্ধুত্বে আর উদ্দাম যৌনতায় বার বার ঘটে যায় এমন চুমু।

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: