বহিষ্কৃত আ.লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই বছর কারাদণ্ড

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এই রায় দেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো দুই মাস করে কারাভোগ করতে হবে। 

দণ্ডিত অন্য চার জন হলেন - হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপি টিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।

রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্য তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৪ মার্চ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায়, জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও, কোনো বেতন পাননি তিনি। অন্যদিকে, তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীর-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালত দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। এমামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মার্চ ২১, ২০২৩