• ঢাকা

  •  শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫

জেলার খবর

ঈশ্বরগঞ্জে তরুণের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার 

মোঃ আরিফুল হক

 প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১০ জুলাই ২০২৫

ঈশ্বরগঞ্জে তরুণের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার 

ছবি- সংগৃহীত

বিছানায় পড়ে ছিল রক্তাক্ত নিথরদেহ। বিছানার পাশের দেয়ালে লেগে আছে রক্তের দাগ। মুখে চাপা দেওয়া ছিল একটি বালিশ। সরাতেই মিলল তরুণের গলাকাটা মরদেহ। মুখ, ঘাড় ও কপালেও জখমের চিহ্ন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে ৪টায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রাম থেকে মো: রাকিবুল হাসান (১৮) নামের এক তরুণের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তরুণ ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাকিবুল হাসান বাড়িতে একাই থাকতো। ২০২৩ সালে স্থানীয় হাটুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার পর আর লেখাপড়া করেনি রাকিব। মা রুবিনা আক্তার ও ১০ বছর বসয়ী রাকিবুলের ছোট ভাই শাকিলকে নিয়ে তার  বাবা আব্দুস সালাম নরসিংদী থাকে। সেখানে একটি গরুর খামার দেখাশোনার কাজ করেন রাকিবের বাবা-মা। একামাত্র বোন সালমার বিয়ের হয়েছে পার্শ্ববর্তী দরিবৃ গ্রামে।

রাকিবের ফুফু শিউল আক্তার(৪০) বলেন, রাকিব ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আমি রাকিবের ঘরে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকি দেখি রাকিবের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া। পরে আমি আশেপাশের লোকদের ডাক দিই। সবাইকে নিয়ে এসে মুখের বালিশ সরিয়ে দেখি রাকিবকে মেরে ফেলা হয়েছে।

আহাজারি করে রাকিবের একামাত্র বোন সালমা খাতুন বলেন,'আমার ভাইকে কারা এইভাবে মারলো গো? আমি তাদের সর্বোচ্চ বিচার চাই। 

রাকিবের মামাতো ভাই জুবাইদ হাসান জানায়,বুধবার দিনগত রাত ১০ টার দিকে রাকিবের সাথে আমার দেখা হয়। তখন সে আমাকে বাজার থেকে বিস্কুট ও সিগারেট আনতে বলে। আমি বাজার থেকে বিস্কুট আর সিগারেট এনে দুইজন একসাথে বসে খেয়েছি। ১১ টা বাজতেই রাকিব আমাকে বলে শুয়ে পড় গিয়ে, আমিও ঘুমাতে যাই। এটাই তার সাথে আমার শেষ কথা বলা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে শুনি এই ঘটনা।

পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কে বা কারা এভাবে ছেলেটিকে হত্যা করলো। কেনইবা মারলো?-এই প্রশ্নের উত্তরটি এখনও সবার অজানা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

এসবিডি/ওবায়দুর রহমান

মন্তব্য করুন: