• ঢাকা

  •  রোববার, মে ৫, ২০২৪

বাংলাদেশ

এ পর্যন্ত যারা পেলেন ঢাবি সম্মান সূচক ডিগ্রি

অনলাইন ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১১:৫৪, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

এ পর্যন্ত যারা পেলেন ঢাবি সম্মান সূচক ডিগ্রি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পক্ষ থেকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণ করেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, ১৯২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেই এবারের সমাবর্তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ৫৪তম সমাবর্তন। বঙ্গবন্ধুর আগে মোট ৫৩ জন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সম্মান সূচক ডিগ্রী প্রদান করেন। 

রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এই ডিগ্রী গ্রহণের রেজিস্ট্রার বইয়ে স্বাক্ষর করেন শেখ হাসিনা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকে এই ডিগ্রী প্রদানের ঘোষণা দেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই সম্মান সূচকে ডিগ্রি প্রদান প্রসঙ্গে বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান সূচক যে ডিগ্রি ‘ডক্টর অব লজ’ প্রদানের মাধ্যমে যে সম্মান স্থাপন করা হলো। যারা এ ডিগ্রি প্রদানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকে আপনারা জাতির পিতাকে ডক্টর অব লজ প্রদান করলেন, কন্যা হিসেবে সেই কৃতজ্ঞতা জানানোর আমার ভাষা নেই।

এর আগে বেলা ১০টা ৫৮ মিনিটে তিনি সমাবর্তনস্থলে পৌঁছান। এসময় উপস্থিত অতিথিরা প্রধানমন্ত্রীকে করতালির মাধ্যমে বরণ করে নেন। এবং বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংগীত পাঠের পর সমাবর্তনের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তনের উদ্বোধনের ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত ‘ডক্টর অব সায়েন্স’, ‘ডক্টর অব লজ’, ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। ঢাবির এই বিশেষ সমাবর্তন পর্যন্ত ৫৪ জনের মধ্যে দুজনকে মরণোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়।

ডক্টর অব লজ ডিগ্রিপ্রাপ্ত হলেন-
প্রথম চ্যান্সেলর আর্ল অব রোনাল্ডশে (১৯২২), প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টজ (১৯২৫), এক্স-চ্যান্সেলর অব দ্য ইউনিভার্সিটি আর্ল অব লোটন (১৯২৭), এক্স- চ্যান্সেলর অব দ্য ইউনিভার্সিটি ফ্রান্সিস স্ট্যানলি জ্যাকসন (১৯৩২), এক্স-চ্যান্সেলর অব দ্য ইউনিভার্সিটি জন এন্ডারসন (১৯৩৬), স্যার আবদুর রহিম (১৯৩৬), এক্স ভাইস চ্যান্সেলর স্যার এফ রহমান (১৯৩৭), তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন (১৯৪২), আগা সুলতান স্যার মোহাম্মদ শাহ আগা খান (১৯৫১), ড. আবদুল ওয়াহাব আজম (১৯৫২), তৎকালীন পাকিস্তানের জেনারেল এস্কান্দার মির্জা (১৯৫৬), বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চ্যান্সেলর এ কে ফজলুল হক (১৯৫৬), মাদাম সুং চিং লিং (১৯৫৬), চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চু-এন লাই (১৯৫৬), তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইযুব খান (১৯৬০), সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের (১৯৬০), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৯৯৯), মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ (২০০৪), প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস (২০০৭), ভাষাসৈনিক এএনএম গাজীউল হক (২০০৮), ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন (২০০৮), তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ড. আবদুল্লাহ গুল (২০১০), জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন (২০১০), ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মহাপরিচালক প্যাসক্যাল ল্যামি (২০১২), ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ড. ইরিনা বোকোভো (২০১২), ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি (২০১৩), ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) মহাপরিচালক ড. ফ্রান্সিস গারি (২০১৫), ফরাসি অর্থনীতিবিদ ড. জঁ তিরোল (২০২২) এবং সবশেষ এ তালিকায় যুক্ত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (২০২৩)।

সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি: 
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (১৯২৭), বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার (১৯৩৬), কবি ও দার্শনিক স্যার মোহাম্মদ ইকবাল (১৯৩৬), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৩৬), শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৬), ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) (১৯৭৪), কাজী নজরুল ইসলাম (১৯৭৪), উস্তাদ আলী আকবর খান (১৯৭৪), প্রফেসর আবুল ফজল (১৯৭৪), প্রফেসর রণজিৎ গুহ (২০০৯)।

বিজ্ঞানে ডক্টর ডিগ্রি: 
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (১৯৩২), স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু (১৯৩৬), স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (১৯৩৬), প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বোস (মরণোত্তর) (১৯৭৪), ড. হিরালাল দে (১৯৭৪), ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা (১৯৭৪), ড. কাজী মোতাহার হোসেন (১৯৭৪), প্রফেসর আবদুস সালাম (১৯৯৩), ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ড. ফেডারিকো মেয়র (১৯৯৭), প্রফেসর অমর্ত্য সেন (১৯৯৯), তাইওয়ানের প্রফেসর ইউয়ান তেইস লি (২০০৯), যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আবুল হুসসাম (২০০৯), ইউরোপীয় অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. রোলফ ডিটার হিউয়ার (২০১৪), কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক অমিত চাকমা (২০১৭) এবং জাপানের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা (২০১৯)

অক্টােবর ৩০, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: