• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

বাংলাদেশ

দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এক শিক্ষক

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট সংবাদদাতা

 প্রকাশিত: ১০:৪০, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এক শিক্ষক

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে একই সঙ্গে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগে এক শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোমিনুল ইসলাম।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত কৈফিয়ত তলবপত্র সূত্রে জানা যায়, মোমিনুল ইসলাম একই সঙ্গে আদিতমারী উপজেলার কিসামত ভেটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইটাপোতা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। যা সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী বিধি বহির্ভূত।

এক সঙ্গে তিনি দুইটি চাকরিতে কিভাবে কর্মরত আছেন তা পত্র প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মূলত ইটাপোতা দাখিল মাদরাসার সুপার আনছার আলীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এ কৈফিয়ত তলব করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৫ সালের ৫ মার্চ ইটাপোতা দাখিল মাদরাসার শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক (বিএসসি) হিসেবে নিয়োগ পাই। নিয়োগের পর থেকে শ্রেণি পাঠদান চালিয়ে আসছিলাম। পরে ২০১৬ সালের ২৬ জুন প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই এবং কিসামত ভেটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করি। ইটাপোতা দাখিল মাদরাসায় আমার এমপিও হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে পদত্যাগ করে মাদরাসায় শ্রেণি পাঠদান নিয়মিত করবো।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইটাপোতা দাখিল মাদরাসার সুপার আনছার আলী বলেন, ‘সহাকারী শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২ জুন হতে বিনা অনুমোতিতে মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অনুপস্থিতির ব্যাপারে তাকে ১৪ ডিসেম্বর, ২১ ডিসেম্বর এবং ১২ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি নোটিশ পাওয়ার পরও কোন জবাব দাখিল করেননি। পরে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, তিনি একই উপজেলার ভেটেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিরত আছেন। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোমিনুল ইসলামকে কৈফিয়তপত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাসহ জবাব দাখিলের নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় চাকরি হতে বরখাস্ত বা অন্য কোন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানুয়ারি ২১, ২০১৭

মন্তব্য করুন: