• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

জেলার খবর

বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় সংঘর্ষে আহত ৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৭ মার্চ ২০২৩

বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় সংঘর্ষে আহত ৫

ছবি: সময়বিডি.কম

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া ও ব্যানারে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের বেলকুচি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে দলীয় ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে ব্যানার ছেড়ে ফেলা আর হামলার ঘটনায় স্থানীয় এমপির উপর ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতাকর্মীরা।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতা কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলে দেওয়ার প্রস্তুতিকালে দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্রকরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। উভয় গ্রুপকেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা নেতা কর্মীদের নিয়ে সকাল পৌনে ৭টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল ৭টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল আসার পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। এবপর আমরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যপ্রদান ও পুস্পস্তবক অর্পনের পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে এমপির লোকজন আমার উপর চড়াও হয়। আমি বলি এটা দলের ব্যানার এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর ছবি আর নাম থাকবে। নিচে আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগ লেখা রয়েছে। কিন্তু তারা সেটা মানতে নারাজ। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে।

এতে সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামাল হোসেন, অলিভ মন্ডল, রুবেল হোসেন গুরুতর আহত হলে আমি তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তবে এই ছোট্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে এমপির এমন আচরণ আমি আশা করিনি। আমি বিষয়টি দলের উর্দ্ধতন নেতাদের জানাবো।

এ বিষয়ে এমপির ব্যাক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, সকালে এমপি মহদয় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যলয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তার নাম নেই। তখন বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে উভয়ের সমর্থকদের মাঝে সামান্য হাতাহাতি হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক নিয়ন্তন করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুস্পস্তবক অর্পন করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভায় অংশগ্রহন করি। 

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, আজকের এইদিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। 

মার্চ ১৭, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: