• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

চাকরি

৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি দেবে এনটিআরসিএ

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০২২

৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি দেবে এনটিআরসিএ

এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতাভুক্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এখন যেকোনো সময় এই পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, এনটিআরসিএ বেসরকারি ও কারিগরি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা থেকে শূন্যপদের তালিকা আহ্বান করেছিল। কাজটি করা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। অনলাইন থেকে পাওয়া সেসব শূন্যপদের তালিকা তারা পাওয়ার পর ওই তালিকা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শূন্যপদের তালিকা যাচাই করার কাজ করে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্যপদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে।

এনটিআরসিএ নিয়োগ শাখা থেকে জানা গেছে, তিন প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই করা তালিকা এনটিআরসিএতে পৌঁছেছে। এখন চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে যেকোনো সময়।

এর মধ্যে মাদরাসা অধিদপ্তরের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ৩৬ হাজার ৫৬২টি পদ, স্কুল ও কলেজ মিলে ৩২ হাজার ৫০০টি পদ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রায় ১ হাজার পদ নির্দিষ্ট করে এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চাকরিপ্রার্থীদের খরচ কমাতে এবারই প্রথম অনলাইনে প্রার্থীরা পছন্দের ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রাখা হচ্ছে।

স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট কত পদ পাওয়া গেছে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সব মিলে ৭০ হাজার ৯৫টি শূন্যপদ পাওয়া গেছে। এগুলো আরো যাচাই করার সুযোগ আছে।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল কাদের খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তিন প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই করার পর আমরা শূন্যপদের তালিকা পেয়েছি। এগুলো আরো বাছাই করা হতে পারে। এ ছাড়া গণবিজ্ঞপ্তি জারি করার অনুমতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেলেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমছে ফি:

এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করার ক্ষেত্রে দুই দফায় টাকা নেওয়া হয়। একটি হচ্ছে সনদ পাওয়ার জন্য। এ জন্য আবেদনের শুরুতে ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়। আরেকটি হচ্ছে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে সনদ পাওয়ার পর পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার সময়।

সে সময় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হতো। চাকরিপ্রার্থী যত ইচ্ছা তত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারতেন। কেউ ৫০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে তাকে দিতে হতো পাঁচ হাজার টাকা। তবে এবার এনটিআরসিএ সনদ পাওয়ার পর চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের নিয়মে কিছুটা বদলের সুপারিশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী এবার একজন প্রার্থী সনদ পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আগের নিয়মে এ জন্য তার খরচ হওয়ার কথা ছিল চার হাজার টাকা। কিন্তু এবার তা কমিয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। আবেদনের নিচে লেখা থাকবে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে যোগ দেবেন কি না?’ সেখানে প্রার্থী ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাছাই করতে পারবেন।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, চাকরিপ্রার্থীদের খরচ কমাতে এবারই প্রথম অনলাইনে প্রার্থীরা পছন্দের ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ রাখা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৭, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: