• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

বাংলাদেশ

প্রথম আলো’র সম্পাদক ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

নিউজ ডেস্ক:

 আপডেট: ০৯:২৫, ৩০ মার্চ ২০২৩

প্রথম আলো’র সম্পাদক ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

ঢাকা: প্রথম আলোর সম্পাদক সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক নামে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বাদি হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় প্রথম আলো’র সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে।

আবদুল মালেক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেঁজগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মোঃ গোলাম কিবরিয়া (৩৬) বাদী হয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়েছে।

গোলাম কিবরিয়া এজাহারে অভিযোগ করে বলেছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান ১টা ৩২ মিনিটে, আমি ব্যক্তিগত কাজে তেজগাঁও থানার ফার্মগেটস্থ আল রাজী হাসপাতালের সামনে অবস্থানকালে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ব্রাউজ করার সময় দেখতে পাই যে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। একই সাথে এ সংবাদটি প্রথম আলো তাদের ফেসবুক পেজে প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, সেই শিশুটির নাম জাকির হোসেন। 

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলেছে, ‘পেটে ভাত না ফুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়।’

মামলায় বাদির অভিযোগে আরো বলা হয়, সংবাদটি দেশে বিদেশে হাজার হাজার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এ ঘটনায় মহান স্বাধীনতা দিবসে দেশের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেল ও তাদের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে।

যে শিশুর কথা প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নাম পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথম আলোর এ খবর বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাদি মামলাটি করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মার্চ ৩০, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: