• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

সবুজ পাতার আড়ালে সূর্যমুখীর হাসি

পাবনা প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৯ মার্চ ২০২৩

সবুজ পাতার আড়ালে সূর্যমুখীর হাসি

হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। চাটমোহরের ভাদড়া গ্রাম থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।

পাবনা: তেলজাতীয় সম্ভাবনাময় ফসল সূর্যমুখী। এ ফসলের চাষ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চেষ্টার কমতি নেই। তার পরও পাবনার চাটমোহরে এ ফসলটির চাষ হচ্ছে খুব সামান্যই। বর্তমান সময়ে ফুলে ফুলে ভরে গেছে কৃষকের সূর্যমুখী ক্ষেত। সবুজ পাতার আড়ালে সূর্যমুখীর হাসি কাছে টানছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

সূর্যমুখী ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউবা ছবি তুলছেন। প্রাকৃতিক এ সৈন্দর্য অবলোকন করতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামে। সবুজ পাতার ফাঁকে সূর্যমুখীর হাসি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।

প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রাম থেকে শুক্রবার বিকেলে ভাদড়া গ্রামে সূর্যমুখী ফুল দেখতে এসেছিলেন তুষার ভট্ট্রাচার্য। তিনি জানান, বন্ধু-বান্ধবের কাছে শুনে লোভ সামলাতে না পেরে সূর্যমুখী দেখতে এসেছিলাম। সূর্যমুখীর হলুদ মনলোভা ফুল দেখে তৃপ্ত হলাম।

সূর্যমুখী চাষী ভাদড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সময়বিডি.কম-কে জানান, এ বছর প্রথম তিনি দেড় বিঘার বেশি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। সরকারিভাবে কৃষি অফিস সার বীজ সরবরাহ করেছে। চাষ, সেঁচ বাবদ টাকাও দিয়েছে। সবসময় নজর রেখেছে কৃষি অফিস। ফুলগুলো বেশ বড় আকারের হয়েছে। তিনি আশা করছেন বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মণ হাড়ে ফলন পাবেন।

একই গ্রামের অপর সূর্যমুখী চাষী আব্দুল হামিদ বলেন, গত বছর তিনি প্রায় দুই বিঘার মতো জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছিলেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ মণ হারে ফলন পেয়েছিলেন। এবারো সূর্যমুখী চাষ করেছেন।

প্রতিকূলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষ দেখতে এসে ফুল ছিড়ে নিয়ে যায়। কিছু বলা যায়না। ফুল ফোটার পর অনেক সময় পাহাড়া দিতে হয়। কৃষক সূর্যমুখী আবাদ করলে লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।

চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ১৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, আমরা নিবির ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কৃষককে প্রয়োজনীয় সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। 

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ সময়বিডি.কম-কে জানান, সূর্যমুখী চাষে হেক্টর প্রতি গড় ফলন পাওয়া যায় প্রায় এক দশমিক আট মেট্রিকটন। সরিষার চেয়ে সূর্যমুখীর বাজারমূল্য সব সময়ই বেশি থাকে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উন্নত মানের তেল পাওয়া যায় যা খুবই উপকারী। সূর্যমুখীর খৈল গবাদীপশুর উত্তম খাবার রূপে বিবেচিত হয়। বীজ সংগ্রহের পর গাছও শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে আমরা কৃষককে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষক সূর্যমুখী চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন।

মার্চ ৯, ২০২৩

ইকবাল কবীর রনজু/এবি/

মন্তব্য করুন: