মিলনে অনীহা? ঘরোয়া খাবারেই আপনার ন্যাতানো জীবন হয়ে উঠবে তেজি

শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি। আবার শরীরের বিভিন্ন অংশ ভালো রাখতে তাদের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে আলাদা আলাদ ধরণের খাবার থেকে লাভবান হওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেরই অজানা! বর্তমান সময়ে মানুষ এতোটাই চাপে থাকেন যে যৌনমিলনে কোনো আগ্রহই অনুভব করেন না। এই দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন চাপ শারীরিক, মানসিক, বা আবেগময় বিষয় যা দৈহিক বা মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এ নিয়ে ভয় পেয়ে অধিকাংশ মানুষ ওষুধের দ্বারস্থ হন৷

কিন্তু কিছু ঘরোয়া খাবারেই নিজেদের সেক্স ড্রাইভ বা যৌন চাহিদা বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব। এমনকি সেগুলো যে সব সময় দামী খাবার তা নয়। আপনার বাজারে রোজ আসে এমন জিনিস খেলেও যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য ফল পেতে পারেন। অনেক পুরুষই আছেন যারা পুরুষত্বহীনতার শিকার৷ তাদেরও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা শরীরে সবকিছুর ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়াও কলা খেলে শরীরে অধিক মাত্রায় টেস্টোস্টেরণ তৈরি হয়৷ যা পুরুষদের যৌন মিলনের ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়।

টমেটো: এতে উপস্থিত পদার্থ রক্ত  চলাচল দ্রুত করে এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যা কম করতে সাহায্য করে। তাই রাতের খাবারে স্যালাডে টমেটো রাখলে ভালো হয়৷ তাতে হাতেনাতে বুঝতে পারবেন টমেটো খাওয়ার গুণ।

সবুজ শাকসবজি: শাকপাতায় প্রচুর নাইট্রেট থাকে। তাই বেশি করে পালংশাক‚ সেলারি বা লেটুস নিজের ডায়েটে রাখুন।

সজনে ডাঁটা: সজনে ডাঁটার এই গুণ দীর্ঘদিন সকলেই জানেন৷ দক্ষিণ ভারতে সাম্বারে বিভিন্ন তরকারির পাশাপাশি তাই ডাঁটাও দেয়া হয়৷ এই গাছের ফুল এবং পাতাও যৌনকাঙ্খা বাড়াতে সাহায্য করে৷

তরমুজ: তরমুজে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে৷ পুরুষদের যৌন চাহিদা বাড়ায়। এছাড়া এই ফল খেলে রক্ত চলাচল বাড়ে। এ ছাড়াও পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোনের লেভেল বৃদ্ধি করে‚ ফলে আপনার সেক্স করার ইচ্ছা বৃদ্ধি পায় ।

বিট: বিটে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট থাকে যা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পুরুষাঙ্গেও রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এবং ভালো ইরেকশন (লিঙ্গোত্থান) হয়। এ ছাড়াও নিয়মিত বিট খেলে দীর্ঘ সময় ধরে যৌনমিলন করা যায়।

এসব ঘরোয়া খাবার খাওয়ার পরও যদি পরিস্থিতিতে কোনো উন্নতি না হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ডায়াটিশিয়ানদের পরামর্শ নিতে পারেন।

জুন ২৪, ২০২২