ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা: ভারতের ওড়িশ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২ মে) বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
এই দুর্ঘটনায় আট শতাধিক আহত হয়েছেন।
এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সিগন্যালের ত্রুটি। রেলের একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ওই যৌথ রিপোর্টে সিগন্যালের ত্রুটির কথাই বলছেন রেল কর্মকর্তারা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’’
রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়, ‘‘এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।’’
কিন্তু মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনো গোলমাল হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের দুই লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি ছিল ২৩ কামরার ট্রেন। তার অন্তত ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। একাধিক কামরা দুমড়ে মুচড়ে যায়।
জুন ৩, ২০২৩
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: