১১ বছর পর গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কমিটি গঠন

ছবি- সংগৃহীত
১১ বছর পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণকে আহ্বায়ক ও হাফেজ মোঃ আজিজুল হককে সদস্যসচিব ঘোষণা করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ২৪ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭৫ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মোঃ আলী আকবর আনিসকে আহ্বায়ক ও সুজিত কুমার দাসকে সদস্য সচিব করে ৯৫ সদস্যবিশিষ্ট গৌরীপুর পৌর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে ২৩ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭০ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটি প্রকাশের পরপরই গৌরীপুর পৌর শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের করে নেতৃবৃন্দ।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম এনায়েত উল্লাহ কালাম ও একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে এই কমিটির তালিকা দলীয় নেতা-কর্মীদের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত হয়।
কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি সভায় আছেন বলে জানান।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৯ সালে বিএনপির গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের দ্বন্দ্বে ২০১৫ সালে গৌরীপুর উপজেলায় দুটি পৃথক আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। এ সময় পৌর বিএনপির কমিটি দেওয়া হলেও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাকে আহ্বায়ক করায় কেন্দ্র থেকে সে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ায় আলোর মুখ দেখেনি।
উপজেলা বিএনপির দুটি পৃথক কমিটি থাকায় পৃথকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। দলীয় কোন্দল মেটাতে ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর গৌরীপুর সরকারি কলেজ হোস্টেল মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গৌরীপুরে উপজেলা ও পৌর কমিটির বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে গৌরীপুরে কার্যত বিএনপি’র উপজেলা ও পৌর কমিটি ছিলোনা।
নবগঠিত উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আহম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ বলেন, তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মনে করছি। এই কমিটির মাধ্যমে বিএনপিকে আগামীতে আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত একটি সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে ত্বরান্বিত করতে রাজপথে প্রয়োজনীয় যুদ্ধ করবো এবং আন্দোলনের যে মানসিক প্রস্তুতি তারই রূপরেখা হিসেবে এই কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন পরে এই কমিটি পেয়েছি। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত হবে এবং আগামীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার লড়াই সংগ্রামের যে গণমানুষের কাঙ্খিত ভোট সেই ভোট আমরা উপহার দিতে পারবো। অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অতিসত্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।
এসবিডি/ওবায়দুর রহমান
মন্তব্য করুন: