• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

পাটের বীজে লাভবান দামুড়হুদার চাষীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

পাটের বীজে লাভবান দামুড়হুদার চাষীরা

জীবননগর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পাটের বীজ উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা। কম খরচ ও অল্প শ্রমে এই বীজ উৎপাদন করতে পারায় লাভবানও হচ্ছেন তারা। চলতি বছর পাটবীজ উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছেন উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক রচনা আলী। তিনি পৌনে চার বিঘা জমিতে পাটের বীজ উৎপাদন করেছেন। 

উপজেলা পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় ১০৫ একর জমিতে ৫০ জন কৃষক বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করেছেন। চাষীদের উৎপাদিত এই বীজ উপজেলা পাট অধিদপ্তর আট হাজার টাকা মণ দরে কিনে নিচ্ছেন। এরইমধ্যে অনেক চাষী তাদের উৎপাদিত বীজ বিক্রি করেছেন।

চাষী রচনা আলী জানান, পাটের বীজ উৎপাদন করতে তেমন কোনো শ্রম ও খরচ করতে হয় না। পৌনে চার বিঘা জমিতে তার ১৪ মণের ওপরে বীজ উৎপাদন হয়েছে। তার এই জমি চাষের জন্য উপজেলা পাট অধিদপ্তর থেকে বীজ, সার, বালাইনাশক ও স্প্রে-মেশিন বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তার সেচ, সার ও বালাইনাশক দিয়ে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। বীজ বিক্রি হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকায়। সকল খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০০ টাকা।

একই গ্রামের ছাকবার আলী ও হেমায়েতপুর গ্রামের চাষী শওকত আলি জানান, উভয়ে তিন বিঘা করে এই চাষ করেছেন। তাদের গাছ খুব ভালো ছিলো। কিন্তু ফুল আসার পর বৃষ্টি হওয়ায় তাদের ফলন অনেকাংশে কমে গেছে। ছাকবার আলীর তিন বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। বীজ উৎপাদন হয়েছে ছয় মন ৩৫ কেজি। বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে তার লাভ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। 

একইভাবে শওকত আলীর বীজ উৎপাদন হয়েছে ছয় মন ৩৩ কেজি। বিক্রি হয়েছে ৫৪ হাজার ৬০০ টাকায়। খরচ বাদে লাভ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা।

উপজেলা পাট অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম জানান, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজ উৎপাদনের জন্য বপনের উপযুক্ত সময়। তিন মাসের এই ফসল যারা সঠিক সময়ে বপন করেছে তাদের ফলন ভালো হয়েছে। দেরীতে বপন করা চাষীরা বৃষ্টির কারণে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফুল শুরু হলে বৃষ্টি হওয়ায় তাদের ফলন কম হয়েছে। এ কারণে তাদের লাভ কম হয়েছে। বীজ বিক্রয়ের কোনো ঝামেলা নেই। আমরা সরকারিভাবে ২০০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় পাট বীজ উৎপান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা নিয়মিত এ সকল চাষীদের ক্ষেত পরিদর্শন করছি। চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
সালাউদ্দীন কাজল/এবি

মন্তব্য করুন: