• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

অর্থ ও কৃষি

আখের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চিনিশিল্প ঘুরে দাড়াবে: শিল্প সচিব

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ২২:২৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আখের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চিনিশিল্প ঘুরে দাড়াবে: শিল্প সচিব

ছবি: সময়বিডি.কম

চুয়াডাঙ্গা: আখের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আখের বিক্রি মূল্য মণ প্রতি ১৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মূল্য বৃদ্ধির ফলে আখাচাষীদের আগ্রহ ফিরবে। এতে দেশের চিনি শিল্প ঘুরে দাড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। 

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় আখের পাইল প্রকল্প, কেরু চিনিকল ও কেরু ডিস্টিলারি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের মাঠে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় আখের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প পরিদর্শন করেন তারা।

এরপর, কেরুজ জৈব সার কারখানা, কেরুজ চিনি কল, ডিস্টিলারি-সহ কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

পরির্দশনকালে শিল্প সচিব বলেন, 'আখের জাত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন আখ উৎপাদনে সহায়তা এবং উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের সঙ্গে বিএটি বাংলাদেশ একযোগে কাজ করে চলেছে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যার মধ্যে এই টেকসই মডেল প্রকল্পটি অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগ দেশজুড়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের প্রান্তিক চাষী আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে এবং ফলস্বরূপ চিনিকলগুলোতে পুনরায় গতির সঞ্চার হবে বলে আমার বিশ্বাস।'

জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় সাধন ও নতুন নতুন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। সফল এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে আখের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে চিনি শিল্প সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেন, চিনির উপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। বিএটি বাংলাদেশ'- এর মাধ্যমে করা এই প্রকল্পে আমরা যে সফলতা পেয়েছি তা আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে করে তারা সামনের দিনগুলোতে আখ চাষে আরো উদ্বুদ্ধ হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, কেরুর ব্যববস্থাপনা পরিচিলক মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা সানজিদা বেগম, বিএটি'র হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ, হেড অব এক্সটার্নাল এফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ, হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কোম্পানি সেক্রেটারি আজিজুর রহমান এফসিএস, ডিভিশনাল লিফ ম্যানেজার ভেলায়েত আলী আহসান প্রমুখ।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

সালাউদ্দীন কাজল/ এবি/

মন্তব্য করুন: