• ঢাকা

  •  শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ভিনদেশ

করমণ্ডল উদ্ধারাভিযান শেষ, নিহত ২৮৮ আহত ৮০৩

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ১৯:০৮, ৩ জুন ২০২৩

করমণ্ডল উদ্ধারাভিযান শেষ, নিহত ২৮৮ আহত ৮০৩

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়ঙ্কর তিন ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৮৮ জন নিহত এবং প্রায় ৮০৩ জন আহত হয়েছেন। দেশটির রেলওয়ে কর্মকর্তারা শনিবার (৩ জুন) বলেছেন, ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনা এটি।

দুর্ঘটনায় পতিত তিনটি ট্রেন হলো - বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেন।

দুর্ঘটনা ঘটে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। এরপর আজ সকাল ১০টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের শেষ বগিটি গ্যাসকাটার দিয়ে কাটেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুরু হয় সেই কামরা থেকে যাত্রী উদ্ধারের কাজ। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানান যে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

> করমণ্ডল দুর্ঘটনা: বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের হটলাইন

এখন এই রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু হবে। ভাঙা ট্রেনের কামরাগুলিকে সরানো হবে সেখান থেকে। মেরামতের কাজ সম্পন্ন হলে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।

দুর্ঘটনায় আহত অনেকেই গোপালপুর, খান্তাপাড়া, বালাসোর, ভদ্রক এবং সোরোর হাসপাতালে রয়েছেন। যেসব রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের কটকের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

তাছাড়া, দুর্ঘটনায় আটকেপড়া যাত্রীদের হাওড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, হাওড়াগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে এক হাজার জন যাত্রীকে হাওড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া বালাসোর থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ২০০ জন যাত্রীকে নিয়ে আসা হচ্ছে হাওড়ায়।

এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সিগন্যালের ত্রুটি। রেলের একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ওই যৌথ রিপোর্টে সিগন্যালের ত্রুটির কথাই বলছেন রেল কর্মকর্তারা।  রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’’

রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়, ‘‘এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দুটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।’’

কিন্তু মেইন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনো গোলমাল হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের দুই লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি ছিল ২৩ কামরার ট্রেন। তার অন্তত ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। একাধিক কামরা দুমড়ে মুচড়ে যায়।

জুন ৩, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: