গৌরীপুরে জিপিআরএস ট্র্যাকিং করে চোরাই দুই সিএনজি’র উদ্ধার

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একই রাতে দু’বাড়ি থেকে দু’টি সিএনজি চুরির ঘটনায় জিপিআরএস ট্র্যাকিংয়ে চোরাই দুই সিএনজির উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) পুলিশের এই ট্র্যাকিংয়ে সিএনজি উদ্ধারের পাশাপাশি দু’জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়ার রহিম মিয়ার পুত্র এনামুল হক বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের আলমগীরের বাড়ি থেকে এনামুল হকের একটি সিএনজি ও একই রাত ৩টার দিকে আহম্মদপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে আশীষ সরকার রতনের একটি সিএনজি চুরি হয়।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া জেলার আদমদীঘী থানার কড়ই (নরশেদপুর) গ্রামের মো. হামিদুর রহমানের পুত্র মো. সাদিক প্রামাণিক (২৪) কে সিএনজিসহ গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ফুলপুর উপজেলার চরকিয়াকান্দা (শাহাপাড়া) গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মো. আজাহারুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেফতার করে। তাদেরকে নান্দাইল থানার পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা ও উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি বলেন, দু’জনকে মোট ১২দিনের পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সিএনজি মালিক আশীষ সরকার রতন জানায়, তার গাড়িতে জিপিআরএস ট্যাকিং যন্ত্র ছিলো। গাড়িটি নান্দাইল থেকে আঠরবাড়ির এলাকায় যাচ্ছিলো। নান্দাইল পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক গাড়িটি উদ্ধার ও একজনকে গ্রেফতার করে। জিপিআরএস ট্র্যাকিং থাকার কারণে গাড়ির সন্ধান মিলেছে।
গ্রেফতারকৃত মো. সাদিক প্রামাণিক জানায়, সে এর আগেও সিএনজি চুরির ঘটনায় জড়িত ছিলো। তাদের গ্রুপের সদস্য সংখ্যা গৌরীপুরের ৩/৪জন ও বাহিরের ৪/৫জন। তার সিএনজির গ্যাস শেষ হয়ে গেলে, চোরাইকৃত অপর সিএনজির সাথে বেঁধে নান্দাইল এলাকা থেকে যাওয়ার পথে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাকে আটক ও গাড়ি উদ্ধার করে। অন্যরা তখন পালিয়ে যায়।
এসবিডি/ওবায়দুর রহমান
মন্তব্য করুন: