গৌরীপুরে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

ছবি- সংগৃহীত
কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে উত্তম কৃষি চর্চা নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রাম এর আওতায় এই কংগ্রেস আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্পে ৭০টি পার্টনার ফিল্ড স্কুলের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীদের বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, ফিল্ড ওরিয়েন্টেশন, পিএফএস কংগ্রেস, মাঠ দিবস আয়োজনের মাধ্যমে উত্তম কৃষি চর্চা নিশ্চিত করা হবে। দুই বছরে ৩২টি পার্টনার ফিল্ড স্কুল বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যার প্রত্যেকটিতে ২৫ জন করে কৃষক সদস্য হিসেবে আছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় রিসোর্স স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. উম্মে হাবিবা, পার্টনার প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা ড. সালাহ উদ্দিন কায়সার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পার্টনার প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, এখন প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন। মেধাবী জাতি গঠনে উৎপাদিত খাদ্যের পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রাখা এবং বাণিজ্যিকিকরণের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের সম্ভাবনাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি আমরা। এই লক্ষ্যে কৃষাণ-কৃষাণী পর্যায়ে দল গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংগঠিত করা হচ্ছে। পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ বছরে দেশের তিন লাখ হেক্টর আবাদী জমিকে উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় আনা হবে, দুই লাখ হেক্টর ধানের জমিতে নতুন জাতের সংস্থাপন, দুই লাখ হেক্টর জমিতে ধান ছাড়া অন্যান্য দানা শস্যের আওতায় নিয়ে আসা, দেশের দুই কোটি ৮৭ লাখ কৃষককে স্মার্ট কৃষি কার্ড প্রদান করা, উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সররবাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাটি, পানি, বায়ুসহ শস্যের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছয়টি ল্যাব স্থাপন এবং ডাটাবেজ তৈরি করা অন্যতম। কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার দশটি ইউনিয়নে পার্টনার প্রকল্পের দল গঠন করে সমবায় বিভাগের নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. উম্মে হাবিবা বলেন, পার্টনার কংগ্রেসের মাধ্যমে পিএফএস এর মাধ্যমে ননপিএফএস যারা রয়েছেন তাদের সাথে মূলত পরিচয় করে দেওয়া। আমাদের দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু জমি কমছে, সেজন্য পার্টনার ফিল্ড স্কুলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে ভেজালমুক্ত, পুষ্টিকর খাদ্য ও সব্জি উৎপাদন করে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পার্টনার ফিল্ড স্কুলে যারা ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের মাধ্যমে যারা প্রশিক্ষণবিহীন রয়েছেন তাদেরকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসবিডি/ওবায়দুর রহমান
মন্তব্য করুন: