• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

ছুটির ফাঁকে

পর্যটন শিল্পে ৫ উপাযে প্রণোদনা ঘোষণার দাবী জানিয়েছে বিটিইএ

সময়বিডি ডেস্ক

 প্রকাশিত: ১৬:০৫, ৫ এপ্রিল ২০২০

পর্যটন শিল্পে ৫ উপাযে প্রণোদনা ঘোষণার দাবী জানিয়েছে বিটিইএ

করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)।

রবিবার (৫ এপ্রিল) সংঘটনটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সাগর সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই ঘোষণা থেকে এ কথা পরিস্কার হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন এবং তা থেকে উত্তোরণের জন্য সদা সচেষ্ট।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রক্ষার্থে কয়েকটি বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করতে চেয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পও অত্যন্ত নাজুক অবস্থার শিকার হয়েছে। একে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে জুন ২০২১ পর্যন্ত যে কোন উপায়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কেননা, এই শিল্প প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ কর্মীর কর্মপ্রচেষ্টায় আমাদের জিডিপিতে ২০১৯ সালে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে এবং পর্যটন রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি।

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে হোটেল ও বিমান মিলে ১০ শতাংশ ব্যবসায়ী কর্পোরেট শ্রেণির, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৮০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ প্রান্তিক শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। ফলে পর্যটনের সাথে মূলত ৯০ শতাংশ পেশাজীবি ও কর্মী অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে, যা অন্য যে কোন উৎপাদনধর্মী এবং সেবাধর্মী শিল্পের চাইতে আলাদা। 

এই শিল্প দেশে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং আবেশিত এই ৩ (তিন) উপায়ে অবদান রাখে। তাই পর্যটন শিল্প ভেঙ্গে পড়লে ভেঙ্গে পড়বে অর্থনীতি ও সমাজ।

এই অবস্থায় সংঘটনটি এই শিল্পকে রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে আগামী জুন ২০২১ পর্যন্ত নিম্নে উল্লেখিত ৫ (পাঁচ) উপায়ে প্রণোদনা ঘোষণার জন্য জোর দাবী জানায়।

ক) বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদানের অন্যুন ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা এবং এই প্রণোদনার টাকা সম্মত নীতিমালার আওতায় এককালীন অনুদান, রিফান্যান্সিং ঋণ ও রেয়াতি সুদহারে ঋণ প্রদান করা।

খ) অনুদান ও ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রান্তিক শ্রেণির ব্যবসায়ী, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট ব্যবসায়ী এই ধারাক্রম মেনে চলা।

গ) ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরকে রক্ষার জন্য এপ্রিল ২০২০ মাসের মধ্যে অনুদানের অর্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের হাতে জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছানো।

ঘ) বিতরণকৃত সকল ঋণ সরলসুদে প্রদান ও দীর্ঘমেয়াদি পরিশোধ কিস্তি নির্ধারণ করা।

ঙ) ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষে পর্যটনের সকল উপখাতে ১০ শতাংশ হারে ট্যাক্স হ্রাস করা।

এপ্রিল ৫, ২০২০

মন্তব্য করুন: