সাঁতার কাটলেই সারবে হাঁপানি ও বাতের মতো অনেক রোগ
ছবি: সংগৃহীত
সাঁতার এমন একটি ব্যায়াম যা নানা রকম ব্যায়াম করার পরিবর্তে শুধু সাঁতার কাটলেই অনেকটা সারা হয়ে যায়। নিয়মিত সাঁতারের ফলে আমাদের শরীরের একাধিক রোগ সেরে যায় এবং শরীর অনেকটা ফিট থাকে।
প্রতিদিন সাঁতার কাটলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে, মানসিক অবসাদ কমে, হাঁপানি ও অনিদ্রার সমস্যাও ভালো হয়ে যায়। চলুন দেখে নিই সাঁতার কেন উপকারী।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ক্যালোরি বার্ন করার দুর্দান্ত উপায় সাঁতার কাটা। আর যত বেশি ক্যালোরি পোড়াবেন, ততই ওজন কমতে সাহায্য হবে। অন্যান্য সাধারণ ব্যায়ামের তুলনায় সাঁতারে ক্যালরি বার্নের হার অনেক বেশি।
হাড় মজবুত করে:
বয়সের সাথে সাথে হাড়ের ভর কমে যায়, বিশেষ করে মহিলাদের। সাঁতার হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। জয়েন্টে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রেও সাঁতার অত্যন্ত সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, সাঁতার অস্টিওপরোসিস অনেকটা সারাতে পারে, হাড়ের ভর উন্নত করে এবং হাড়কে আরো মজবুত করে।
হার্ট সুস্থ রাখে:
সাঁতার কাটলে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস অনেক বেশি সুস্থ থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম সেরা ব্যায়াম সাঁতার। যারা রোজ সাঁতার কাটেন, তাদের হার্টের সমস্যা কমে অনেকখানি। পাশাপাশি সাঁতার পেশী শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে।
ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়:
শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়লেই হৃদরোগ ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়বে। সাঁতার রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমাতে বেশ কার্যকর। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত সাঁতার কাটা শুরু করুন।
হাঁপানি কমায়:
গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁপানির মতো রোগে সাঁতার খুব ভালো ফল দেয়। সাধারণ ব্যায়ামের চেয়েও বেশি উপকারী। আবার সাইনাসের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে সাঁতার। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সুইমিং পুলের জলে ক্লোরিনের মাত্রা কম-বেশি হলে তা এই সব রোগের কষ্ট আরো বাড়িয়ে তোলে।
ঘুম ভালো হয়:
রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে অবশ্যই সাঁতার কাটা শুরু করুন। ঘুমের সমস্যা থাকলে তা দূর হয় নিয়মিত সাঁতার কাটলে। সাঁতার কাটার সময় মস্তিষ্ক-সহ গোটা শরীর সচল থাকে। এটি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে:
নিয়মিত সাঁতার কাটলে মন ভালো থাকে। স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমে যায়। বিভিন্ন গুরুতর মানসিক সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করে সাঁতার। যার ফলে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। শরীরের সমস্ত কার্যকলাপ স্বাভাবিকভাবে হয়।
এসবিডি/এবি/
মন্তব্য করুন: