• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই সহকারী অধ্যাপকের মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

 আপডেট: ১১:১০, ১৫ আগস্ট ২০২২

কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই সহকারী অধ্যাপকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে মামুন হোসেন (২২) নামে এক কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অন্যদিকে, আটক মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়, রবিবার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে খাইরুন নাহার ও মামুন হোসেন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে।

আগস্ট ১৪, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: