নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র মামদানি
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। তিনি শহরটির ইতিহাসে নির্বাচিত হওয়া প্রথম মুসলিম মেয়র।
মঙ্গলবারের (৪ নভেম্বর) নির্বাচনে এই জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্বল্প পরিচিত আইনপ্রণেতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সামনের সারির অন্যতম দৃশ্যমান ডেমোক্র্যাট নেতা হয়ে উঠলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, মামদানি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক ডেমোক্র্যাটিক দলীয় গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন দৌঁড়ে মামদানির কাছে হারার পর কুওমো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
নির্বাচনী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগাম ভোটসহ এ নির্বাচনে ২০ লাখেরও বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এটি ১৯৬৯ সালের পর থেকে একটি মেয়র নির্বাচনে পড়া সবচেয়ে বেশি ভোট।
মামদানি নিউ ইয়র্কে উচ্চাভিলাষী বামপন্থি নীতি প্রস্তাব করেছেন। তিনি নগরীটির সরকারি বাসে চলাচল ভাড়ামুক্ত করাসহ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ভাড়াটেদের আর্থিক চাপ কমানো এবং আবাসন ব্যয় সাশ্রয়ী রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি মুদি বাজার এবং বেতনের মতো জীবন-যাত্রা ব্যয়ের বিষয়গুলোতে বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তার এসব প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যকর বার্তা হিসেবে কাজ করেছে। তার এই প্রচারণা একটি আদর্শিক ও প্রজন্মগত প্রতিযোগিতা হিসেবে কাজ করেছে যা ডেমোক্র্যাট পার্টির জাতীয় নীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন জানিয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সমর্থনও নিউ ইয়র্কের ভোটারদের মন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেনি।
মামদানি জয়ী হলে নিউ ইয়র্কে ফেডারেল তহবিল কাটছাঁটের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এই হুমকির মুখে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয় পাওয়া নতুন নেতা কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সামাল দিয়ে চলবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এসবিডি/এবি
মন্তব্য করুন: