• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

বাংলাদেশ

আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:

 আপডেট: ১৮:৪৭, ৩১ জুলাই ২০২৩

আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: প্রধানমন্ত্রী

আন্দোলন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না; যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। আমরা অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসকে আর বরদাস্ত করব না। এটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।
 
সোমবার (৩১ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি। তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনে সমস্যা আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই শক্তি (মনোবল) নিয়ে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমি এটি বিশ্বাস করি। সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, এমনকি দুস্থ সম্প্রদায়েরও। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুর্দশা গ্রামীণ এলাকায় প্রায় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।পাশাপাশি তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা উদ্ভাবনী ধারণা খুঁজে বের করার এবং তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ। আপনি যখন আপনার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন, তখন সর্বদা চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

পুরস্কার প্রাপকরা তাদের নামের শেষে টাইটেল হিসাবে “বিপিএএ” শিরোনাম ব্যবহার করতে পারবেন। প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। 

স্বাগত বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। - বাসস

জুলাই ৩‌১, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: