• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

বাংলাদেশ

বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলার ডুবে ৮ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক:

 প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৬ আগস্ট ২০২৩

বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলার ডুবে ৮ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ে ইছামতি নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পিকনিকের ট্রলার ডুবে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে নারী-শিশুসহ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৩২ জন। এখনো ছয়জন নিখোঁজ।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ইছামতি নদীর ডহরি তালতলা খালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন থেকে ট্রলারে নদীভ্রমণে গিয়েছিলেন ৪৬ জন। সারাদিন হৈ-হুল্লোড় করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। পিকনিকের আনন্দে মুহূর্তে নেমে আসে বিষাদ।

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কায়েশ উদ্দিন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে পিকনিকের ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা। তাদের অপেক্ষায় নদীতীরে বসে আছেন দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা যাত্রীরা।

নিহতদের মধ্যে এক নারী, তিন শিশু ও চার যুবক রয়েছে। এক শিশুর নাম রায়হান (৮)। অন্যদের নাম জানা যায়নি। 

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নুরে আলম বলেন, হাসপাতালে দুই শিশুর মরদেহ আনা হয়েছে। একজনের বয়স ৮ বছর; আরেকজনের ৫ মাস।

স্থানীয়রা জানান, যে জায়গায় ট্রলারটি ডুবে গেছে, তার একপাশে লৌহজংয়ের রসকাঠি গ্রাম আর অপর প্রান্তে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সিলিমপুর গ্রাম। দুর্ঘটনার পর দুই পাড়ের মানুষ ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন আসেন। কিন্তু রাতের অন্ধকার আর নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের উদ্ধারকাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। বাল্কহেড রেখে চালক পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটির ছাদে বাঁশ ও কাপড় দিয়ে শামিয়ানা টানানো ছিল। দুর্ঘটনার পর পরই ট্রলারের যাত্রীদের স্বজনরা নদীপাড়ে চলে আসেন। সেখানে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা আহাজারি করছেন। মরদেহ উদ্ধারের পর পরই প্রিয়জনের খোঁজে তারা সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং ট্রলারটি উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

আগস্ট ৬, ২০২৩

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: