• ঢাকা

  •  বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৭, ২০২৫

বাংলাদেশ

সাড়ে ১৭ বছর গোটা জাতি বন্দী ছিল: ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ১১:০০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাড়ে ১৭ বছর গোটা জাতি বন্দী ছিল: ডা. শফিকুর রহমান

ছবি : সংগৃহীত

বিগত সরকারের শাসনামলে ১৭ বছর ৬ মাস গোটা জাতি বন্দি ছিল। মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাপ, পায়ে ছিল বেড়ি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ মজলুম ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা.শফিকুর রহমান।
 
তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর এরা জাতির উপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ওপর। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর নেই। আর কোনো সংগঠনের এত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়নি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহত ও শহিদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হলো। সাড়ে আট শ’ বছর আগে লক্ষণ সেন পালিয়ে গিয়েছিল, তার পরে আপনি পালিয়ে গেলেন। 

তিনি বলেন, ‘নির্যাতন করা হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের। কালো আইনে টেনে হিঁচড়ে তাদের জেলে নেওয়া হয়েছে। তারা কাউকে বাদ দেয়নি।

তিনি বলেন, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে আমাদের হাজার খানেকের মতো ‘কলিজার টুকরা’ জীবন দিয়েছেন। এখানে কোনো দলমত নেই। এখানে কোনো ধর্ম নেই। সব ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, সব ধর্মের মানুষই মারা গিয়েছেন। নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন। শহিদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না। এই শহিদরা জাতির সম্পদ, এই শহিদরা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহিদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোন দল যেন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সবার ত্যাগের ফসল। সবার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। 

বক্তব্য রাখেন ধনবাড়ীতে নিহত একরামুল হক সাজিদের পিতা জিয়াউল হক, সৈয়দা আক্তার, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ ও শহর ছাত্র শিবিরের সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: