• ঢাকা

  •  মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০২৪

বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ১০:০৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে। 

এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

প্রকাশিত আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতদসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

যেহেতু ১৫ জুলাই হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণে মাধ্যমে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।

যেহেতু সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসীকার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে।

সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২-এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ১৮(১) ধারায় ছাত্র লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পরপরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে এবং সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

সমাবেশে  ছাত্র নেতারা এই সিদ্ধান্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

এসবিডি/এবি

মন্তব্য করুন: