• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

বান্দরবানে কৈশোর ও যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন

বিশেষ প্রতিনিধি

 আপডেট: ১৭:০৮, ২২ মে ২০২২

বান্দরবানে কৈশোর ও যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন

ছবি: সময়বিডি.কম

বান্দরবান: বান্দরবানে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ (ওএলএইচএফ) প্রকল্পের উদ্যোগে কৈশোর ও যুববান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন সেশন সম্পন্ন হয়েছে।

গত ১৭ মে (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় সেশনটি শুরু হয় এবং শেষ হয় বৃহস্পতিবার (১৯ মে)। 

জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মেডিকেল অফিসার, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এবং বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-সহ ৪৩জন অংশগ্রহণকারী হিসেবে ওরিয়েন্টেশন সেশনে উপস্থিত ছিলেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে সিমাভি ও বিএনপিএস-এর সার্বিক সহযোগিতায় একেএস, তহ্জিংডং ও গ্রাউস এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. অং চালু, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রোজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার। 

উদ্বোধনী পর্বে অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী দিধিতি চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলী।

অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- গ্রাউস’র চেয়ারপার্সন মংথুইচিং মারমা, তহ্জিংডং’র মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক বিভাগের ব্যবস্থাপক উচনু মারমা, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের জেলা কর্মসূচি কর্মকর্তা ডা. সুমথং মুরং, ইউএনএফপিএ’র জেলা প্রতিনিধি ধন রঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখ।

১৭ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই ওরিয়েন্টেশন সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন, (ভারপ্রাপ্ত) ডা. থোয়াই অং চিং মারমা, বান্দরবান সদর হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আহমেদ, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহমুদ আল ফারাবী, মেডিকেল অফিসার ডা. তাফনিন ফারহানা, অ্যাডভোকেট উম্যাসিং মারমা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী উবানু মারমা, মাস্টার ট্রেইনার সুমিত বণিক।

তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ওরিয়েন্টেশনের সার্বিক সমন্বয়নের দায়িত্বে ছিলেন উমা চিং মারমা, রমেশ চন্দ্র তঙ্গ্যা-সহ একেএস, গ্রাউস, তহ্জিংডং’র প্রকল্প কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ।

ওরিয়েন্টেশনের বিভিন্ন পর্যায়ে বক্তারা বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হলো কিশোর কিশোরী। জনসংখ্যার অধিক্যকে আমরা বোঝা হিসেবে না দেখে, আমাদের উচিত এটাকে সম্পদে পরিণত করা। সেজন্য নিজেদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেই সাথে অর্জিত দক্ষতাকে কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হবে। কারণ কৈশোর বয়স জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে এই বয়সের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো ইতিবাচকভাবে দেখা হয় না। অবচেতন মনে বিভিন্ন ধরনের কৌতুহল ও ভ্রান্ত ধারণার কারণে কিশোর-কিশোরীদের জীবনে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি কিশোর-কিশোরীদেরকে এই সময় সঠিক তথ্য ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারি, তাহলে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি নানা সমন্বিত উদ্যোগের ফলে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। সরকারের গৃহীত কার্যক্রমকে সফল করতে প্রান্তিক পর্যায়ে কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে সেবা গ্রহণের যে চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তারা যেন গুণগতমানের স্বাস্থ্য সেবাটা পায়, সেটাকে আমাদের সবাইকে মিলে নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই, সেখানে এটিকে চালু করা এবং যেখানে কেন্দ্রগুলো বর্তমানে চালু আছে, সেগুলোকে সক্রিয় করার প্রতি বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।

মে ১৯, ২০২২

বিবিএন/এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: