• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

মুকসুদপুরে চার হিন্দু পরিবারকে হুমকি, জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ১৭:৩০, ৩ জুন ২০২২

মুকসুদপুরে চার হিন্দু পরিবারকে হুমকি, জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

ছবি: সময়বিডি.কম

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের চারটি পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী চারটি পরিবার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের গোহালা গ্রামের দাগ নং ৪৮৪, ৪৮৫, ৪৮৬, ৪৮৭, ৪৮৮, ৫২৭, ৫২৮, ৫৩১ মৌজা গোহালা খতিয়ান জে ২-১৮৪, এস.এ ও আর. এস জরিপ অনুযায়ী বংশানুক্রমিকভাবে ১৯২ শতাংশ বাড়ির জায়গা হরিপদ রায়সহ চারটি পরিবার ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোহালা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গার পাশে কিছু জায়গা ক্রয় করেন। পরে আবুল কালাম আজাদ তার ক্রয়কৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ না করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোগ দখলকৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের জন্য পায়তারা করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা দেয়। এ সময় আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুমকি দেয়। এমন কি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবজিসহ চারটি মামলা দয়ের করে অহেতুক হয়রানি করছে।

এ অবস্থায় ওই চারটি পরিবারসহ ১০টি পরিবার চরম আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। 

ভূক্তভোগী পরিবারের অশোক রায় বলেন, 'আমাদের এই বাড়ির জায়গা আবুল কালাম আজাদ জবর দখল করার জন্য পায়তারা করছে এবং আমাদের নামে চাঁদাবাজিসহ চারটি হয়রানিমূলক মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, উক্ত দাগের মধ্যে ৪১ শতাংশ জায়গা ক্রয় সূত্রে আমার। প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। 

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। জমি সংক্রান্ত বিষয় আদালত দেখবে। তবে আমরা চেষ্টা করবো দুই পক্ষকে ডেকে আপোষ-মিমাংসা করে দেয়ার জন্য।

জুন ৩, ২০২২

সাইফুর/এবি/

মন্তব্য করুন: