• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

সিরাজদিখানে বাসাইল ইউপি সদস্যদের ৫ বছরের ভাতা বাকী, চাইলেই হুমকি!

ওয়াসীম আকরাম, বিশেষ প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিরাজদিখানে বাসাইল ইউপি সদস্যদের ৫ বছরের ভাতা বাকী, চাইলেই হুমকি!

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ৫ বছরের সম্মানী ভাতা বাকী, তাছাড়া ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করতে চাইলে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। 

এমনকি মেম্বারদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেতে হলে চেয়ারম্যানকে কাজের পূর্বেই নির্দিষ্ট অংকের পারসেন্টেজ দেয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।

বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায় যে, পরিষদের মোট ১২ জন সদস্যের মধ্যে ৮ সদস্যর ৫ বছরের ও ৩ সদস্যর ৪ বছরের ও ১ সদস্যর ২ বছরের মাসিক সম্মানি ভাতার টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি সদস্যর মাসিক সম্মানী ভাতা ৪ হাজার ৪০০ টাকা। এ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং টেক্স এর ফান্ড হতে দেয়ার কথা। 

সদস্যদের অভিযোগ চেয়ারম্যান হোল্ডিং টেক্স আদায় করে মেম্বারদের সম্মানী ভাতা প্রদান না করে আত্মসাত করেছে।

এ ব্যাপারে বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আইয়ুব খান জানান, 'বকেয়া ভাতা চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম মেম্বারদের গালিগালাজ ও মারধর করার হুমকি প্রদান করে। এমনকি মেম্বাররা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে হলে চেয়ারম্যানকে অগ্রিম ১০ শতাংশ টাকা ঘুষ হিসাবে অগ্রিম দিতে করতে হয়। যে মেম্বার টাকা দেয় না তাকে কাজ দেয়া হয়না।'

তিনি আরো বলেন, 'বিগত কয়েক বছর যাবত আমি ঘুষ দেইনা বলে আমার ওয়ার্ডে কোন উন্নয়নমূলক কাজ দেয়া হয় না। এ ছাড়াও চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে ভূয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদান, ওয়ারিশ সনদ প্রদানে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে আমিসহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।'

এ ব্যাপারে বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করলে কি হবে? এর সমাধান কি পত্রিকা অফিস দিতে পারবে? সরকারি টাকা আত্মসাৎ করলেতো সরকারই আমাকে ধরতো”।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: