• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

জেলার খবর

চিতলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীর মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

চিতলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীর মামলা

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া

বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিয়ের নামের প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।

গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালাতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর কথায় জানা যায়, তার স্বামী সৌদি আরব থাকায় ২০১২ সালের দিকে কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুরি গ্রামের মৃত ছালাম শেখের ছেলে মোঃ বাদশা মিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোঃ বাদশা মিয়া আমার কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়। বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে আমাকে দিয়ে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেওয়ায়।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর খুলনার অজ্ঞাত এক কাজী অফিসে তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে করেন। একই সঙ্গে খুলনা শহরের টুটপাড়া এলাকার মাওলানা আব্দুল জব্বারের মাধ্যমে কলমা পড়িয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার সুবাদে মোঃ বাদশা মিয়া বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার জন্য আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেয়। এভাবে আমাদের সংসার চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে বাদশা মিয়া কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিয়ের কথা অস্বীকার করে। কিন্তু তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমার ছবি আছে। আমরা এক সঙ্গে ভাড়া বাসায় ও হোটেলে থেকেছি, তা অনেক মানুষ জানে। বাদশা মিয়াকে বিয়ের জন্য আমি স্বামীকে তালাক দিয়েছি, আর এখন সে আমাকে অস্বীকার করে। আমি কোথায় যাব, এই বলে কান্না করেন ওই নারী।

এ প্রসঙ্গে চিতলমারী উপজেলা কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করিয়েছে। 

ছবির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ওই নারী সম্পর্কে আমার নাতনি হয়। কোনো এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এই ছবি তোলা ছিল মনে হয়।

প্রতারিত অভিযোগে দায়ের করা মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ বাহাদুর ইসলাম বলেন, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২

সুব্রত কুমার মুখার্জী/এবি/

মন্তব্য করুন: