• ঢাকা

  •  শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

জেলার খবর

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বদলে গেছে গৃহহীনদের জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৯ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বদলে গেছে গৃহহীনদের জীবন

ছবি: সময়বিডি.কম

সিরাজগঞ্জ: ‘ছোট একটি ছাপড়া ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনো মতে বসবাস করেছি। কখনো স্বপ্নে কল্পনা করতে পারি নাই, যে একটি পাকাঘর করে সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতে পারবো। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন হাসিনা দরদী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)।’ চোখের কোণে আনন্দের অশ্রু নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া মোছাঃ লাকি খাতুন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে শুধু লাকি খাতুন নয়, এমন আনন্দ ও খুশিতে আত্মহারা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত সেমিপাকা ঘর পেয়ে অসহায় ১৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। 

উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা ১৩টি ঘর, বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল ও মাধাইনগর ৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় ১৯জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে তাদেরকে জমির উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য উপহারের ঘরে থাকছে দুটি থাকার কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি করে উন্নত টয়লেট ও একটি বারান্দা। প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত ৬৫ বছর বয়সি মোছাঃ পালনী বেওয়া বলেন, ‘সারাজীবন অভাব-অনটনের সংসারে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। পাকাবাড়ি বানানোর চিন্তা কোনোদিন করিনি। কিন্ত শেখ হাসিনার সরকার ও ইউএনও সাহেবের জন্য বিনামূল্যে জমি ও ঘর পেয়েছি। শেষ বয়সে রঙিন টিনের আধাপাকা ঘরে থাকতে পারছি। আমি সব সময় শেখ হাসিনার জন্য আর তাড়াশের ইউএনও সাহেবের জন্য দোয়া করি।’

মোছাঃ ফুলেরা বেগম বলেন, ‘খেয়ে না খেয়ে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করেছি। ইউএনও সাহেব আমাকে পাকাঘর করে দিয়েছে। আমি এখন খুব সুখে আছি। কারণ কখনো ভাবতে পারি নাই পাকাঘরে থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবো। আর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যেন সুখে থাকেন, আল্লাহ তাদের হায়াত দান করেন। যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন এই দোয়া করে যাবো।’

দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক সময়বিডি.কম-কে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোজার আশ্রয়স্থল গড়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশনায় আমার ইউনিয়নে প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা প্রণয়ন করে নিয়মমাফিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছেন তাদেরকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় ১৯টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গুণগত মান বজায় রেখে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঘরগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহহীনদের একটা মানসম্মত ও টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য আমরা সবসময় তদারকি করছি।

মার্চ ১৯, ২০২৩

মৃণাল সরকার মিলু/এবি/

মন্তব্য করুন: