• ঢাকা

  •  রোববার, মে ১৯, ২০২৪

অপরাধ

স্ত্রীকে খুন করে ওয়ারড্রোবে রেখে স্বামীর আত্মসমর্পণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

স্ত্রীকে খুন করে ওয়ারড্রোবে রেখে স্বামীর আত্মসমর্পণ

দিনাজপুর: মেহেদির রং না মুছতেই  প্রেম করে বিয়ে় করার মাত্র ২৮ দিনের মাথায় নিভে গেলো সুমাইয়া আক্তার (২৭) নামে এক নববধূর প্রাণ। স্ত্রীকে খুন করে মরদেহ ওয়ার্ডডোবে রেখে থানায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মোঃ মনোয়ার হোসেন ওরফে মিঠু (৩৩)। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়ায়।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন।

মিঠু দিনাজপুর শহরের গুড়গোলা এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে। আর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বীরগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের বড় মেয়ে়। তিনি বেসরকারি একটি ব্যাংকে (এবি) কর্মরত ছিলেন। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে শহরের ঘাসিপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন মিঠু। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হত্যার পর রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে তিনি স্ত্রী খুনের কথা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার ঘরের ওয়ারড্রোব থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মনোয়ার হোসেন তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ বাড়ির ওয়ারড্রোবের ভিতরে লুকিয়ে রাখে। পরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে ওয়ারড্রোবের ভিতরে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। রাতেই মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

নিহত সুমাইয়ার ভাই ইসাহাক আলী জানান, তার বোন স্থানীয় এক বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিল। ২৮ জানুয়ারি তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারি মনোয়ার হোসেনের আগের বউ ছিল। বিয়ের ২৮ দিনের মাথায় বোনকে হত্যা করেছে এই পাষণ্ড। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন জানান, ক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে থানায় গিয়ে মিঠু তার স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান। প্রথমে তার কথা বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে পুলিশের একটি দল পাঠিয়ে ঘাসিপাড়ায় তার ভাড়া করা বাসার ৪র্থ তলায় ওয়ার্ডড্রোব থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ওই যুবক জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন ওয়ার্ডড্রোবে। 

তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে তাদের বিয়ে হয়েছে। কি কারণে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নিহতের ভাই এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদহে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাড়ির মালিকসহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতে দেখেননি তারা। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে আরো তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকতা। 

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

আব্দুস সালাম/এবি/

মন্তব্য করুন: