• ঢাকা

  •  রোববার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

ভিনদেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ:

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে বিস্ফোরণে প্রধান জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

নিউজ ডেস্ক:

 আপডেট: ০৯:২০, ১৭ এপ্রিল ২০২২

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে বিস্ফোরণে প্রধান জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

ছবি: সংগৃহীত

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের একটি ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মিসাইলবাহী জাহাজ মস্কভার সব ক্রুকে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কভায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে জাহাজে রাখা গোলাবারুদ একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। তবে কীভাবে এই আগুন লাগে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কোন কারণ দেখানো হয়নি।

তবে ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, ইউক্রেন বাহিনীর ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল মস্কভার ওপর আঘাত হেনেছে।

কৃষ্ণসাগরের এই নৌবহর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষভাবে মারিউপোলের ওপর, মিসাইল হামলা চালানো হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে মস্কভা থেকে কৃষ্ণসাগরে সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হয়।

ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ হচ্ছে কোন নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী জাহাজ, যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়। ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল।

রাশিয়া ম্যারিটাইম স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মাইকেল পিটারসন বিবিসিকে জানান, ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ওজনের জাহাজ মস্কভা রুশ নৌ-শক্তির অন্যতম প্রতীক। সিরিয়াসহ রাশিয়ার বহু সামরিক অভিযানে এই জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, এখন ইউক্রেনের ওপর হামলার কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করা হলেও ১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনের এক ডক ইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কভা পরিদর্শন শেষে জাহাজ থেকে নেমে আসছেন।

মস্কভা জাহাজ নিয়ে আলোচনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ার দিকে। সে সময় একটি দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে এই জাহাজ গিয়ে সেখানে মোতায়েন সব ইউক্রেনীয় সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করার জন হুমকি দেয়। কিন্তু ওই জাহাজ থেকে মিসাইল হামলার মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা জবাব দেয়: জাহান্নামে যাও। সূত্র: বিবিসি

এপ্রিল ১৫, ২০২২

এসবিডি/এবি/

মন্তব্য করুন: