• ঢাকা

  •  রোববার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

ভিনদেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ:

ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

 প্রকাশিত: ১৪:২৮, ১১ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। রাজধানী কিয়েভ-সহ খারকিভ, লাভিভ, দনিপ্রো এবং জাপোরিসাসহ অন্যান্য ইউক্রেনীয় শহরেও মিসাইল আক্রমণ চালানো হয়েছে।

বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, তিনিই এসব হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার তৈরি একটি সেতুর বিস্ফোরণের জন্য তিনি ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন এবং বলেছেন ঐ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে এটিই সবচেয়ে ব্যাপক হামলা।

ভিডিওকে দেখা যায়, ইউক্রেনের স্থানীয় সময় ১১ অক্টোবর সকালে কিয়েভের শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যস্ত সড়ক, পার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে রুশ ক্রুজ মিসাইলগুলি আঘাত হানে। এতে শিশুদের একটি খেলার মাঠের পাশে একটি বিশাল গর্ত দেখা যায় এবং কাছাকাছি সেতুকে লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এসব হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

তিনি বলেছেন, রাশিয়া 'বিশ্বের বুক থেকে ইউক্রেনকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।'

বিবিসি সংবাদদাতা ক্রিস প্যাট্রিস জানাচ্ছেন, ইউক্রেনের বেশ ক'টি বড় শহরে রুশ হামলা প্রমাণ করে যে তারা এখনও লক্ষ্যভেদী অস্ত্র মোতায়েন করার ক্ষমতা রাখে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত বলেছেন, রাশিয়া ৮৩টি মিসাইল ছুঁড়েছে এবং ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এর মধ্যে ৪৩টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। 

তিনি জানান, কালিবার, ইস্কান্দার এবং কেএইচ-১০১ মিসাইলগুলি ক্যাস্পিয়ান এবং কৃষ্ণ সাগর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

সর্বশেষ কয়েকমাসে কিয়েভে কোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। তবে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ কিয়েভের আশেপাশে হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু এবারের হামলা কিয়েভের মূল কেন্দ্রের আরো বেশি কাছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাত্র দুইদিন আগে রাশিয়ার সাথে অধিকৃত ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করা একমাত্র সেতুটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটলো।

এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা ঠিক কতো, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এখনো পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ১১, ২০২২

মন্তব্য করুন: