ইমাম মুহিব্বুল্লাহ অপহরণে ইসকন জড়িত থাকার সত্যতা পায়নি পুলিশ
মো. মহিবুল্লাহ মিয়াজী
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছিল তার সত্যতা পায়নি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিন্ন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ বলছে, তাদের তদন্তে দেখা গেছে অপহরণ নয়, মুহিব্বুল্লাহ নিজেই বাসে পঞ্চগড় গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান।
এ সময় তার সঙ্গে উপ-কমিশনার জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ইমাম মুহিব্বুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই মামলার তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইমাম মুহিব্বুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এরইমধ্যে ইমাম মুহিব্বুল্লাহ পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার ইমামের বরাত দিয়ে বলেন, সকালে ইমাম মিয়াজী টিঅ্যান্ডটি বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে পূবাইল থানাধীন মাজুখান এলাকার দিকে যেতে থাকেন। মাজুখান থেকে অটোরিকশায় পূবাইল থানার মীরের বাজারে গিয়ে নামেন তিনি। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসন থানাধীন ভোগরা বাইপাস এলাকায় গিয়ে নামেন। পরে ভোগরা বাইপাস থেকে বাসে করে ঢাকার গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে পৌঁছান। সেখান থেকে পঞ্চগড়গামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকিট কেটে বেলা ২টায় যাত্রা শুরু করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মুহিব্বুল্লাহ বাসে উঠে তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাস্ক পরেন। বাসটি যাত্রাপথে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন পেন্টাগন হোটেলে মাগরিবের নামাজের যাত্রা বিরতি করলে তিনি বাস থেকে হোটেলে নেমে নামাজ পড়ে দ্রুত বাসে ওঠেন। এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে পঞ্চগড় জেলার সর্বশেষ বাস স্টেশনে নেমে তিনি সামনের দিকে হাঁটতে থাকেন।
টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গত বুধবার সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। পরদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশ থেকে শিকল বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মুহিব্বুল্লাহর ছেলে বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন।
এসবিডি/এবি
মন্তব্য করুন: